
আবারও তীরে এসে তরী ডুবলো পাঞ্জাব কিংসের। মিডিল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার ফের হতাশ করলো লোকেশ রাহুলদের। কোহলিদের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে পাঞ্জাব। ৬ রানে গুরুত্বপূর্ণ জয় অর্জনের সাথে সাথেই চেন্নাই ও দিল্লির পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত করলো ব্যাঙ্গালোর।
দ্বিতীয় দফায় রান তাড়া করতে নেমে লোকেশ রাহুল এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল দলকে এগিয়ে দিলেও মিডিল অর্ডার পাঞ্জাবকে হতাশ করলো আবারও। ওপেনিং জুটিতে আগরওয়াল এবং রাহুল ৯১ রান যোগ করেন। রাহুল ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৪২ বলে ৫৭ রান করেন। ১১৪ রানের মাথায় মায়াঙ্ক ফিরে যাওয়ার পর ভরা ডুবির মধ্যে পড়ে পাঞ্জাব। এডেন মার্করাম(২০), সরফরাজ খান(০), শাহরুখ খান(১৬),হেনরিকেসরা দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
শারজায় টসে জিতে এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বিরাট কোহলি। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে ব্যাঙ্গালোর। আরসিবির হয়ে এই ম্যাচে আবারও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এই অজি অলরাউন্ডার ৩ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন।
আরসিবির হয়ে দেবদূত পাড়িক্কেল এবং বিরাট কোহলি অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিলেন। প্রথম উইকেটে এই জুটি ৬৮ রান যোগ করেন। তবে ৬৮ রানের মাথায় জোড়া উইকেট খুইয়ে ফেলে আরসিবি। বিরাট কোহলি ২৪ বলে ২৫ রান করেন এবং ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান রানের খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখেন। দুজনকেই ফেরান ময়েজেস হেনরিকেস। এরপর দেবদূত পাড়িক্কেলও ৪০ রান করে হেনরিকেসের শিকার হন। মিডিল অর্ডারে ম্যাক্সওয়েল এবং ডিভিলিয়ার্স দলের রানের গতি বাড়ান। ম্যাক্সওয়েল ৫৭ রান করেন এবং এবি ডিভিলিয়ার্স একটি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে ১৮ বলে ২৩ রান স্কোর বোর্ডে যোগ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন