

বদল হলো না লাল-হলুদদের ভাগ্য। এই নিয়ে টানা সাতবার! টানা সাতবার মশাল নেভালো মোহন তরী। শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বি। ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। চিরপ্রতিদন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে ০-২ গোলে হারিয়ে জয় তুলে নিলো মেরিনার্সরা। বাগানের হয়ে গোল করলেন হুগো বুমোস এবং মনবীর সিং।
শনিবার যুবভারতীতে লড়াই হলো সমানে সমানে। ইস্টবেঙ্গল সুযোগও তৈরি করেছিল বেশ কয়েকটা। তবে রক্ষণভাগের ব্যর্থতা আর ফিনিশিং-এর অভাব এদিনও সামনে থেকে দেখতে পেলো ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। অন্যদিকে এটিকে মোহনবাগানের দলগত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
মুম্বই সিটি এফসি থেকে আসার পর মোহনবাগানের হালই যেনো ধরে রেখেছেন হুগো বুমোস। প্রতিটি ম্যাচেই দলের হয়ে তাঁর অবদান চোখে পড়ার মতো। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বুমোস হয়ে উঠলেন অপ্রতিরোধ্য। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে বাগানের হয়ে গোলের খাতা খোলেন বুমোসই। দূর থেকে গোল লক্ষ্য করে নীচু শট নিয়েছিলেন তিনি। কমলজিৎ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা বাঁচালেও বল হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এই গোলটির জন্য লাল-হলুদ শিবির হয়তো বা দোষারোপ করবে গোলরক্ষক কমলজিৎকে।
প্রথম গোল পাওয়ার পরেই যেনো নতুন করে অক্সিজেন পায় মেরিনার্সরা। অল্প সময় বাদেই আসে দ্বিতীয় গোল। ৬৫ মিনিটের মাথায় কেরলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা দিমিত্রি পেত্রাতোসের ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মনবীর সিং। শেষ পর্যন্ত এই লীড ধরে রেখেই ডার্বি জেতে এটিকে মোহনবাগান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন