

শেষ হলো ২৪ দিনের লড়াই। ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত প্রাক্তন অলিম্পিয়ান ও ফুটবলার সমর বন্দোপাধ্যায়। ময়দানে যিনি পরিচিত ছিলেন বদ্রু বন্দোপাধ্যায় নামে। শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পিকে বন্দোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী, সুভাষ ভৌমিক, সুরজিৎ সেনগুপ্তের পর বাংলার ফুটবল হারালো আরও এক নক্ষত্রকে। বদ্রু বন্দোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ ময়দান।
গত ২৭ জুলাই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বদ্রু বন্দোপাধ্যায়। অ্যালঝাইমার্স, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাজোটেমিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। প্রাক্তন অলিম্পিয়ানের বাড়ি থেকে মোহনবাগানকে সমস্ত কিছু জানানো হলে সচিব দেবাশিস দত্ত, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সাথে কথা বলেন। সবুজ-মেরুনদের সহযোগিতায় বদ্রু বন্দোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর জন্য গঠন করা হয়েছিলো পৃথক মেডিক্যাল বোর্ডও।
শেষ কয়েকদিন ধরেই সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন বদ্রু। মাঝে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাঁকে এমআর বাঙ্গুর নিউরোসায়েন্সেও স্থানান্তরিত করা হয়। শনিবার ভোর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলা ফুটবলের এই কিংবদন্তী।
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত মোহনবাগানের হয়ে ময়দান কাঁপিয়েছেন বদ্রু বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সময়েই ১৯৫৩ সালে প্রথমবার ডুরান্ড কাপ এবং ১৯৫৫ সালে প্রথম রোভার্স কাপ জেতে মোহনবাগান। এছাড়া মেরিনার্সদের হয়ে ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং সিঙ্গাপুর সফরেও ছিলেন তিনি। বাংলার হয়ে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে সন্তোষ ট্রফি জেতেন তিনি। ২০০৯ সালে 'মোহনবাগান রত্ন' সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে।
১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলেছিলেন প্রাক্তন স্ট্রাইকার। সেবছর ভারত সেমিফাইনালে ওঠে এবং চতুর্থ স্থানে শেষ করে। সেই বদ্রু বন্দোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার ফুটবল মহলে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন