

ভারতের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ চ্যাম্পিয়ন হল কিউইরা। তাছাড়া ২০২১ সালের পর দেশ অথবা বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হল ভারত। পাশাপাশি ২০১২ সালের পর ঘরের মাটিতে কোনও টেস্ট সিরিজ হারল টিম ইন্ডিয়া।
বেঙ্গালুরু টেস্টের পর পুণে টেস্টেও ব্যর্থ হল টিম ইন্ডিয়া। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল কিউইরা। পুণেতে মিচেল স্যান্টনারের জাদুতে ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৫৯ রান। কিন্তু ২৪৫ রানেই থেমে যায় রোহিত অ্যান্ড কোম্পানির ইনিংস।
৮ রানে ফেরেন রোহিত শর্মা। যশস্বী এবং শুবমন গিলের মধ্যে একটি পার্টনারশিপ তৈরি হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৩ রানে আউট হন শুবমন। ৭৭ রানে ফেরেন যশস্বী। অনেকেই ভেবেছিলেন কোহলির ব্যাট থেকে বড় ইনিংস দেখা যাবে। কিন্তু সেটাও হল না। তিনি ফিরলেন ১৭ রানে। রান আউট হয়ে ০ রানেই ফিরতে হয় ঋষভকে। গ্লেন ফিলিপসের বলে আউট হয়ে ২১ রানে ফেরেন। সরফরাজকে ফিরতে হয় ৯ রানে। অশ্বিন করেন ১৮ রান। আকাশ দীপ ফেরেন ১ রানে। ৪৫ রানে আউট হন জাদেজা।
মিচেল স্যান্টনার নেন ৬ উইকেট। ২টি উইকেট নেন এজাজ প্যাটেল এবং ১টি উইকেট পান গ্লেন ফিলিপ্স।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে ভারতের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ২০১৬-১৭ মরসুমে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ২০১২ সালে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ধোনির ভারত। ২০১০-১১ মরসুমে ১-০ ব্যবধানে টেস্ট হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। ২০০৩-৪ সালে ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছিল নিউজিল্যান্ড।
১৯৯৯-২০০০ মরসুমে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ভারত ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল। ১৯৯৫-৯৬ মরসুমে ১-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। ১৯৮৮-৮৯ সালে ২-১ ব্যবধানে জেতে ভারত। ১৯৭৬-৭৭ মরসুমে ভারতীয় দল ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে। ১৯৬৯-৭০ সালে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র হয়। ১৯৬৪-৬৫ মরসুমে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ভারত জেতে ১-০ ব্যবধানে। ১৯৫৫-৫৬ মসরুমে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারত জেতে ২-০ ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ সালে ভারতের মাটিতে ভারতকে সিরিজে হারানো ঐতিহাসিক দিন হিসেবে থাকবে নিউজিল্যান্ডের কাছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন