দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে থাকার জন্য আগামী ৪ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হলো সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান গুলাম সাব্বিরকে। আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার তথ্যানুযায়ী, আইসিসির ২.৪.৪, ২.৪.৫, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ ধারার মোট ৬ টি আইন ভেঙেছেন সাব্বির। সোমবার আইসিসির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে ইউএই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানের নির্বাসনের খবর জানিয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে শুরু হয়েছে সাব্বিরের শাস্তির মেয়াদ। এই শাস্তির মেয়াদ চলবে আগামী ২০২৫ সালের ২০ ই আগস্ট। এই সময়ের মধ্যে সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে ৩৫ বর্ষীয় ক্রিকেটারকে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বিরুদ্ধে সিরিজে ম্যাচ ফিক্সিংএর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাব্বিরের সতীর্থরা। একই বছর এপ্রিলে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেও ম্যাচ ফিক্সিংএর প্রস্তাব পেয়েছিলেন ইউএই ক্রিকেটাররা। তবে তিনি সবকিছু জানা সত্ত্বেও আইসিসিকে এবিষয়ে কিছু জানাননি। সেইসঙ্গে তথ্য লোপাট করার অভিযোগও এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে সাহায্যও করেননি এবিষয়ে তদন্তের জন্য।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী শাখার জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল জানান, "ইউএইর হয়ে ৪০টি ম্যাচ খেলা সাব্বিরের দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। এটা খুবই হতাশাজনক যে তিনি আমাদের দুর্নীতির বিষয়ে কিছু জানাননি। যদিও পরে তিনি সাহায্য করেছেন। তবে আমরা তাঁকে শাস্তি দিয়েছি, কারণ ভুল করলে শাস্তি পেতেই হবে। সেটা সবার জন্যই।"
সাব্বির ইতিমধ্যেই নিজের ভুল স্বীকার করে আইসিসির দেওয়া শাস্তি স্বীকার করেছেন। ২০১৭ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একদিবসীয় ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। দেশের জার্সিতে ২৩ টি ওডিআই এবং ১৭ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দীর্ঘ চার বছরের নির্বাসন কাটিয়ে উঠতে সাব্বির পৌঁছে যাবেন ৩৯ বছর বয়সে। তারপর আবার ক্রিকেটে কামব্যাক করা একপ্রকার অনিশ্চত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।