

টেনিস বিশ্বের দুই কিংবদন্তী রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদাল। ফেডেরার কিছু আগে পেশাদারী টেনিসে পা রাখলেও দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায় দু'দশক ধরে দেখে আসছেন বিশ্ববাসী। কোর্টের মধ্যে তাঁরা একে অপরের' 'চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী'। তবে কোর্টের বাইরে তাঁদের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিন ধরে। একে অপরের প্রতি সবসময়ই সম্মান প্রদর্শন করেন।
সুইস কিংবদন্তী রজার ফেডেরার পেশাদারী টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন। লেভার কাপের পর আর কখনও প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে দেখা যাবে না ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে। বন্ধু ফেডেরার অবসর নেওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁর উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন বার্তা পোস্ট করেন রাফা। সুইস কিংবদন্তীকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে স্প্যানিশ কিংবদন্তী বলেন, ফেডেরারের সাথে খেলতে পারাটা 'আনন্দের এবং সম্মানের'।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এবং ফেডেরারে একসাথে ছবি পোস্ট করেছেন রাফা। এরপর স্প্যানিশ মহাতারকা লিখেছেন, "বন্ধু রজার। আশা করি এমন দিন আর কখনও আসবে না। আমার কাছেই শুধু নয়, গোটা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষের কাছে এটা খুবই দুঃখের দিন। আমি আগেও এটা তোমায় বলেছিলাম। আর আজ ঠিক সেটাই হল। এটা অসাধারণ ও গর্বের মুহূর্ত আমার কাছে যে তোমার সঙ্গে এতগুলো বছর কোর্টে ও কোর্টের বাইরে সময় কাটাতে পেরেছি।"
রাফা আরও লেখেন, "আমাদের এখনও অনেক কাজ বাকি। আগামীতে একসঙ্গে সেই কাজ সারব। আপাতত তুমি তোমার স্ত্রী, মিরকার সঙ্গে, সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাও। লন্ডনে লেভার কাপে খেলার সময় দেখা হচ্ছে।''
ফেডেরার এবং নাদাল হলেন টেনিসের ইতিহাসে এমন দুই খেলোয়াড়, যারা টানা ৬ বছর এটিপি র্যাংকিং-এ প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। দুই কিংবদন্তী পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন ৪০ বার। যার মধ্যে নাদাল জিতেছেন ২৪ টি ম্যাচ এবং ফেডেরার জিতেছেন ১৬ টি ম্যাচ। লাল সুরকির কোর্টে ১৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন নাদাল। অন্যদিকে গ্রাস কোর্টে ৩-১ লীডে শেষ করেছেন ফেডেরার। আউটডোর হার্ড কোর্টে নাদাল এগিয়ে রয়েছেন ৮-৬ ব্যবধানে। ইউএস ওপেনে দুই কিংবদন্তী কখনো একে অপরের মুখোমুখি হননি। ২০০৩ সালে কেরিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন ফেডেরার। এরপর থেকে ৬টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, একটি ফরাসী ওপেন, ৮টি উইম্বলডন ও ৫টি ইউএস ওপেন জেতেন সুইস কিংবদন্তী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন