

রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই কার্ডিফ স্টেডিয়ামে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। উচ্ছ্বাসটা প্রাথমিক ভাবে যাকে ঘিরে শুরু হয় তিনি আর কেউ নয়, ওয়েলস ফুটবল দলের নয়নের মণি গ্যারাথ বেল। গতরাতে ১-০ গোলে ইউক্রেনকে হারিয়েছে ওয়েলস। আর এই জয়ই হয়তো ওয়েলসের ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ জয়। তার কারণ, এই জয়ের ফলেই দীর্ঘ ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে ওয়েলস।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের প্লে-অফের ফাইনালে ওয়েলসের চেয়ে দাপট বেশি দেখায় ইউক্রেনই। একের পর এক আক্রমণে ওয়েলসের রক্ষণভাগকে নাজেহাল করে তুলেছিলো তারা। তবে এদিন ভাগ্য সহায় হয়নি ইউক্রেনের। ওয়েলস গোলরক্ষক অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়েছিলেন তেকাঠির নীচে।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো ইউক্রেন। ওয়েলসকে বেশ ফিকেই দেখাচ্ছিলো। তবে ৩৪ মিনিটের মাথায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে গোল হজম করতে হয় ইউক্রেনকে। বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে নেওয়া গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিক বিপদমুক্ত করতে হেড করেছিলেন ইউক্রেন অধিনায়ক আন্দ্রিই ইয়ারমোলেঙ্কো। বল তাঁর মাথায় লেগে চলে যায় নিজেদের জালে। এই আত্মঘাতী গোলেই স্বপ্নভঙ্গ হয় ইউক্রেনের। এরপর অবশ্য গোল পরিশোধ করার একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিলেন ইয়ারমোলেঙ্কোরা। তবে গোল পরিশোধ করা হয়ে ওঠেনি তাদের।
গ্যারেথ বেলের দেশ ওয়েলস শেষ বার ১৯৫৮ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিলো। দীর্ঘ ৬৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ফুটবল মহারণের সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চে প্রত্যাবর্তন ঘটালো তারা। এর আগে ইজিপ্ট ও নরওয়ে ৫৬ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলো। এই জয়ে সবথেকে দীর্ঘসময় পর প্রত্যাবর্তনের রেকর্ড নিজেদের দখলে করে নিলেন বেলরা। গ্রুপ বি’তে ইংল্যান্ড, ইরান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জায়গা হয়েছে ওয়েলসের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন