

ছোটদের ডার্বি ঘিরেও বিতর্কে জড়ালো কলকাতার দুই প্রধান। শনিবার অনূর্ধ্ব ১৭ যুব লিগে মোহনবাগানের ঘরের মাঠে মোহনবাগানকে ৪-০ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গল। আর তারপরেই মোহনবাগান কর্তারা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়িয়ে ফুটবলার খেলানোর অভিযোগ আনলেন।
মোহনবাগানের অভিযোগ, লাল-হলুদের এক ফুটবলার আইএফএতে যে নামে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, সেই নাম পাল্টে অন্য নামে খেলেছেন ডার্বি ম্যাচে। ওই ফুটবলারের বয়স নাকি ২১। তিনি একসময় অনূর্ধ্ব ১৩ মোহনবাগান টিমের হয়ে খেলেছেন। কলকাতা লিগেও খেলতে দেখা গিয়েছে অন্য ক্লাবের হয়ে। ওই ফুটবলারের বিরুদ্ধে যাবতীয় নথি ফেডারেশনকে পাঠিয়েছে মোহনবাগান। একইসাথে আরও কয়েকজন ফুটবলারকে বয়স ভাঁড়িয়ে খেলানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
যদিও ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, 'এআইএফএফের টুর্নামেন্ট এটা। তাই বয়স দেখেই প্লেয়ারদের রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমি তো জানি ভারতীয় টিমের একজন প্লেয়ারও ইস্টবেঙ্গলে খেলছে। সুতরাং, এআইএফএফ এই ব্যাপারটা খুব ভালো করেই জানে'।
ডার্বির শুরুতেই মোহনবাহানের পবিত্র মান্ডি পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফাউল করে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন লাল হলুদ অধিনায়ক গুণরাজ সিং গ্রেওয়াল। তারপর থেকে প্রথমার্ধে মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলকে বেশ চাপেই রেখেছিল। বার বার আক্রমণ করেছিল সবুজ মেরুন বক্সে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে পরপর তিনটি গোল করে ব্যবধান অনেকটা বাড়িয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। তারপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহনবাগান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন