

ডার্বি জ্বরে কাঁপছে গোটা বাংলা। রবিবার যুবভারতীতে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। প্রায় আড়াই বছর পর কলকাতায় হতে চলেছে সবুজ-মেরুন বনাম লাল-হলুদের লড়াই। তার আগে সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক ডার্বির কিছু ইতিহাস।
ধন্যি মেয়ে ছায়া ছবিতে মান্না দের কন্ঠে গাওয়া সেই পরিচিত গান, 'সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল'। চিরকালই বাঙালির কাছে ফুটবল ভালোবাসার জায়গা। আর সেটা যদি কলকাতা ডার্বি হয় তাহলে তো কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু বাংলাতেই নয় বিদেশের মাটিতেও কলকাতা ডার্বির উন্মাদনা তুঙ্গে থাকে। চলতি বছরে ১০১ তম বর্ষে পা দিল কলকাতার দুই প্রধানের এই লড়াই। ভারতের দুই ঐতিহ্যবাহী দল প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯২১ সালের ৮ আগস্ট কোচবিহার কাপে। সেই ম্যাচ শেষ হয় অমীমাংসিত ভাবে। শেষ ডার্বিতে অবশ্য মোহনবাগান জেতে ৩-১ গোলে। কলকাতা ফুটবল লীগে প্রথম ডার্বি হয় ১৯২৫ সালের ২৮ মে। নেপাল চক্রবর্তীর করা একমাত্র গোলে সবুজ-মেরুন শিবিরকে হারায় ইস্টবেঙ্গল।
ডার্বির ইতিহাসে সবথেকে বড় জয় পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ১৯৭৫ সালে আইএফএ শীল্ডের ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ৫ গোল করে ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফলাফল ছিল ৫-০। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ময়দানে আপাতত ৩৮১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই ক্লাব। যাতে পাল্লা ভারী লাল-হলুদের। ইস্টবেঙ্গল জিতেছে ১৩২ টি ম্যাচ আর মোহনবাগান জয় পেয়েছে ১২৪ টি ম্যাচে। লাল-হলুদ সমর্থকরা আনন্দিত হলেও শেষ পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে।
২০১৭-২০২২ পর্যন্ত মোট ১৫ টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় কলকাতার দুই প্রধান। তাতে ৯ বার জেতে সবুজ-মেরুন। মাত্র ২ বার জয়ের মুখ দেখে ইস্টবেঙ্গল। আর ৩ টি ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। শেষ পাঁচটি ডার্বিতেও জিতেছে মোহনবাগান। অন্যদিকে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ৯ বার সম্মুখীন হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। ইস্টবেঙ্গল জেতে ৫ বার। মোহনবাগান জেতে ৪ বার।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমানে খাতায় কলমে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও ডার্বিতে স্নায়ুরচাপ জয়ের অন্যতম কারণ। চলতি ডুরান্ড কাপে এখনও দুটি ক্লাবের কেউই জয়ের মুখ দেখেনি। দুটি ম্যাচ খেলে মোহনবাগান একটি হেরেছে ও একটি ড্র করেছে। ইস্টবেঙ্গলর দুটি ম্যাচেরই ফলাফল গোলশূন্য ড্র। রবিবার মশাল জ্বলবে ইস্টবেঙ্গলের, নাকি মোহনবাগানের পালতোলা নৌকা জয়ের স্রোতে ভাসবে, তারই প্রহর গুনছে দুই ক্লাবের সমর্থকরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন