ঘরের মাঠে ঐতিহ্যশালী 'ডুরান্ড কাপ' জিততে পারলো না মহামেডান স্পোর্টিং। উত্তেজনার ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে এডু বেডিয়ার একমাত্র গোলে প্রথম ডুরান্ড কাপ ঘরে নিয়ে যাচ্ছে এফসি গোয়া। লড়াই করেও সাধের ট্রফি জেতা হলোনা ব্ল্যাক প্যান্থারদের।
২০১৩ সালে শেষ বার এশিয়ার প্রাচীনতম এই ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে তুলেছিলো মহামেডান স্পোর্টিং। ১৩০ তম আসরে আবারও শিরোপা জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিলো কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বাজিমাৎ করে গেলো জোয়ান ফেরান্ডোরা।
যুবভারতীতে ডুরান্ডের ফাইনাল ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিলো তুঙ্গে। স্থানীয় ক্লাব মহামেডানকে সমর্থন করার জন্য দর্শকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। ট্রফি যাতে বাংলাতেই থাকে তাই মহামেডানকে সমর্থনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরাও। ব্ল্যাক প্যান্থাররা অবশ্য সবটুকু দিয়েই লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
এদিন নির্ধারিত ৯০ মিনিটে দুই দলই থাকে গোলশূন্য। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটে অবশ্য জাল ছুঁয়েছিলো মহামেডানের বল। মিলানের দুরপাল্লার জোরালো শটে গোল এলেও তা বাতিল হয়ে যায়। তার কারণ আগেই ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। এর ঠিক পাঁচ মিনিট বাদেই দুরন্ত এক সুযোগ এসেছিলো গোয়ার সামনে। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আইএসএল খেলা দলটি। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে আবারও সুযোগ আসে দুই দলের তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনো দল। অবশেষে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটের মাথায় যুবভারতীতে সাদা-কালো বাহিনীকে হতাশ করে গোল পেয়ে যায় এফসি গোয়া। অনবদ্য ফ্রী কিকে মহামেডানের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন এডু বেডিয়া। শেষ পর্যন্ত এই লীড ধরে রেখে ১৩০ তম ডুরান্ড কাপ ঘরে নিয়ে যায় এফসি গোয়া।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।