ইউরোপীয়ন সুপার লীগের ঘোষণার পরেই ঝড় উঠেছে ফুটবল বিশ্বে। ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ফুটবল বাঁচানোর উদ্দেশ্যে সুপার লীগ শুরু হচ্ছে বলে জানালেও ফুটবল ফ্যানেরা তা মানতে নারাজ। প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে তারা। প্রাক্তন ফুটবলার, কোচ থেকে বর্তমান ফুটবলাররাও এই সুপার লীগের সমালোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বড় ধাক্কা খেলো সুপার লীগের আয়োজকরা। তার কারণ প্রিমিয়ার লীগের ছ' দলই সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
ইউরোপের ১২ টি শীর্ষস্থানীয় ক্লাব নিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিলো ইউরোপীয়ন সুপার লীগের। যেখানে প্রিমিয়ার লীগের ৬ শীর্ষ দল এবং স্প্যানিশ লা লিগা এবং সিরি আ'র তিন শীর্ষ দল অংশগ্রহণ করবে। প্রিমিয়ার লীগ থেকে ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, লিভারপুল, আর্সেনাল ও টটেনহ্যাম সুপার লীগে অংশগ্রহণ করছে বলে জানা যায়। তবে ফ্যানেদের বিক্ষোভ, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলনের পর সিটি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে যে, তারা সরে দাঁড়াচ্ছে সুপার লীগ থেকে। এরপর একে একে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে যোগ দেয় ম্যান ইউ, লিভারপুল, আর্সেনাল এবং টটেনহ্যাম। এরপর চেলসিও সুপার লীগ থেকে নিজেদের নাম তুলে নিচ্ছে। অর্থাৎ প্রিমিয়ার লীগের ছয় দলই সরে দাঁড়াচ্ছে ইউরোপীয়ন সুপার লীগ থেকে।
সুপার লীগের পক্ষে এখন ছটি দল রয়েছে। স্পেন থেকে রিয়েল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এবং ইতালি থেকে জুভেন্তাস, ইন্টার মিলান এবং এসি মিলান। সুপার লীগ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এক বিবৃতিতে জানায় এই আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের দলগুলি বিমুখ হওয়ায় আদৌ ইউরোপীয়ন সুপার লীগ অনুষ্ঠিত করা যাবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
ডিফেন্ডিং ইউরোপীয়ন চ্যাম্পিয়ন জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নমিউনিখ এবং ফ্রান্সের পিএসজি অবশ্য আগে ভাগেই জানিয়ে দিয়েছেন তারা এই প্রজেক্টে উৎসাহী নয়। লিভারপুলের অধিনায়ক জর্ডান হেন্ডারসন প্রিমিয়ার লীগের এই স্কোয়াডের পক্ষে একটি বিবৃতি টুইট করে বলেছেন "আমরা এটি পছন্দ করি না এবং আমরা চাই না যে এটি ঘটুক। এটি আমাদের সম্মিলিত অবস্থান।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।