ফুটবলের শেষ কথাই হলো গোল। যে ম্যাচে যত বেশি গোল সেই ম্যাচ তত রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে। আর তা যদি হয় ম্যাচ শুরুর কিছু সেকেন্ডের মধ্যে। সেই ম্যাচ আলাদাই গুরুত্ব পায়। ফিফা বিশ্বকাপেও এমন ১০টা দ্রুততম গোল আছে। এক নজরে গোলগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই আছেন তুর্কি প্লেয়ার হাকান সুকুর। ৯ নম্বর জার্সিধারী এই খেলোয়াড় ২০০২ ফুটবল বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলা শুরুর মাত্র ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন। যা দেখে গোটা বিশ্ব অবাক হয়ে গিয়েছিল। সেই বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানে যাত্রা শেষ করে তুর্কি।
দ্বিতীয় দ্রুততম গোলটি করেন চেকের খেলোয়াড় ভ্যাকলাভ মাসেক। ১৯৬২ বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ১৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে নিজের দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হয় তাঁদের।
জার্মান খেলোয়াড় আর্নস্ট লেনার ১৯৩৪ বিশ্বকাপে তৃতীয় দ্রুততম গোলটি করেন। সময় লাগে মাত্র ২৫ সেকেন্ড। বিপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া। ওই বিশ্বকাপে জার্মানি তৃতীয় স্থান লাভ করে।
চতুর্থ দ্রুততম গোলটি করেন ইংল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রায়ান রবসন। ১৯৮২-র বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে এই কীর্তি করেন মাত্র ২৭ সেকেন্ডে। ৮২-র বিশ্বকাপ হয়েছিল স্পেনে। ইংল্যান্ডকে গ্রুপ পর্যায় থেকেই দেশে ফিরে জেতে হয়।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম গোলটি হলো ২৯ সেকেন্ডে। ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘানার বিরুদ্ধে করেন আমেরিকার প্লেয়ার ক্লিন্ট ডেম্পসেই। সেই ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে যায় আমেরিকা।
১৯৭৮ ফুটবল বিশ্বকাপে ষষ্ঠ দ্রুততম গোলটি করেন ফরাসি তারকা বার্নাড ল্যাকোম্বে। ইতালির বিরুদ্ধে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই নিজের দলকে ১-০-এ এগিয়ে দিয়েছিলেন।
সপ্তম দ্রুততম গোল করেন অন্য এক ফরাসি ফুটবলার এমিল ভেইনান্তে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ১৯৩৮ বিশ্বকাপে মাত্র ৩৫ সেকেন্ডে গোলটি করেন তিনি। ওই বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হয় ফ্রান্সকে।
অষ্টম দ্রুততম গোলটি করেন সুইডেনের ফুটবলার আর্নে নিবার্গ। ১৯৩৮ বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ৩৫ সেকেন্ড বা ৩৬ সেকেন্ডে গোলটি আসে। যদিও ম্যাচটি ৫-১ গোলে হেরে যার সুইডেন।
নবম স্থানে রয়েছেন হাঙ্গেরির ফুটবলার ফ্লোরিয়ান আলবার্ট। ১৯৬২ ফুটবল বিশ্বকাপে বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ৫০ সেকেন্ডে গোল করেন তিনি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দশম দ্রুততম গোলটি করেন রোমানিয়ার খেলোয়াড় অ্যাডালবার্ট দেসু। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ৫০ বা ৫১ সেকেন্ডের মাথায় পেরুরু বিরুদ্ধে গোলটি করেন তিনি। ওই বিশ্বকাপে রোমানিয়াকে গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নিতে হয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।