

পাঁচ বছরের জন্য বিসিসিআই-এর মিডিয়া রাইটস কিনেছিল স্টার গ্রুপ। ২০১৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত থাকা এই চুক্তিতে বিসিসিআই-এর তরফ থেকে সম্ভাব্য ১০২ টি ম্যাচ আয়োজনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে আয়োজন করা হয় ১০৩ টি ম্যাচ। কিন্তু চুক্তিতে ১০২ টি ম্যাচ আয়োজনের উল্লেখ থাকায় স্টারের তরফ থেকে ১৩৯ কোটি টাকা ছাড়ের আবেদন করা হয়। বিসিসিআই এই বিপুল অর্থের পুরোটা না ছাড়লেও ৭৮.৯০ কোটি টাকা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিসিসিআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, "বিসিসিআই-এর মিডিয়া চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ৫ ই এপ্রিল, ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে স্টারের সঙ্গে ১০২ টি ম্যাচ সম্প্রচারের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তার থেকে একটি বেশি ম্যাচ সম্প্রচার করা হয়েছে। যে কারণে তাদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"
তবে বিসিসিআই-এর এই বিবৃতি ভালো চোখে দেখছে না স্টার গ্রুপ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টারের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে জানায়, বিসিসিআই-এর সাথে ১০২ ম্যাচ সম্প্রচারের চুক্তি হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তাদের অর্থ দেওয়ার কথা রয়েছে। তাই ১০৩ তম ম্যাচের কোনো প্রশ্ন ওঠার কথাই নেই। সেই ম্যাচের জন্য কেনো টাকা দেওয়া হবে। বিসিসিআই কিসের জন্য ছাড়ের কথা বলছে।
২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সঙ্গে ৬১৩৮.১০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল স্টার। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১ শে মার্চ। এই পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ম্যাচ পিছু ৪৬ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ম্যাচ পিছু ৪৭ কোটি, ২০২০-২১ সালে ম্যাচ পিছু ৪৬ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ম্যাচ পিছু ৭৭ কোটি এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ম্যাচ পিছু ৭৮.৯০ কোটি টাকা বিসিসিআই-কে দিয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন