

বার্সেলোনায় নিজের বাড়িতে ডাকাতির শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। অভিযোগ, সোমবার ভোর রাতে অন্তত চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি বাগান দিয়ে তারকা ফুটবলারের বাড়িতে ঢোকেন। প্রত্যেকের হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। সঙ্গে লোহার রড দিয়ে হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর অস্ত্রের মুখে অবামেয়াং এবং তাঁর স্ত্রীকে রেখে আলমারি খুলতে বাধ্য করে সোনার গহনা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। অবামেয়াংকে ডাকাতের দল মারধরও করেছে বলে খবর। সেইসঙ্গে তাঁর স্ত্রী আলিশা বেহাগকেও লাঞ্ছিত করেছে বলে জানিয়েছে এল পাইলস সংবাদমাধ্যম।
বার্সেলোনার একটি সূত্র এএফপিকে বলেছে, "অবামেয়াং এখন ঠিক আছে, ভীত কিন্তু ঠিক আছে।" কাতালান পুলিশের একজন মুখপাত্র এই ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে তারা কাস্টেলডেফেলসের কমপ্লেক্সে হওয়া এই ডাকাতির তদন্ত করছে। এএফপিকে তিনি বলেন, "তদন্ত শুরু হয়েছে এবং আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।"
শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে গানার্স ম্যানেজার মাইকেল আর্তেটার সাথে মতভেদের পর গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ড ফেব্রুয়ারিতে আর্সেনাল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন। সম্প্রতি তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে চেলসি ফুটবল ক্লাব। অবামেয়াংও প্রিমিয়ার লীগে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েছেন। এসবের মাঝেই সশস্ত্র ডাকতদের কবলে পড়তে হলো তাঁকে।
শুধু অবামেয়াংই নন। স্পেনের বেশ কিছু হাই প্রোফাইল ফুটবলার ডাকাতির শিকার হয়েছেন। জুন মাসে ব্রাজিলের প্রাক্তন ফরোয়ার্ড রোনাল্ডোর বাড়িতে ত্রিশ লাখ ইউরো চুরির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিছু দিন আগেই অনুশীলনের সময় অবামেয়াংয়ের সতীর্থ রবার্ট লেভনডস্কির ৫৬ লাখ টাকার ঘড়ি চুরি হয়েছিল। এই মাসের শুরুর দিকে পুলিশ পোলিশ তারকার ঘড়িটি উদ্ধার করে। বার্সেলোনার আর এক ফুটবলার আনসু ফাতির বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন