

চট্টগ্রামে কার্যত অসাধ্য সাধন করে দেখালেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফগানিস্তানের সংগ্রহ করা ২১৫ রানের জবাবে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারাতে গিয়ে পৌঁছায় টাইগাররা। এরপর যা ঘটলো তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। সপ্তম উইকেটে রেকর্ড গড়ে আফিফ-মিরাজ জুটি খেললেন এক অভাবনীয় ইনিংস। যার দৌলতে ৪ উইকেটে রাশিদ খানদের হারিয়ে ওডিআই সিরিজের শুভ সূচনা করলো বাংলাদেশ।
রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ফজল হক ফারুকির আগুনে বোলিংএর সামনে মেরুদন্ড সোজা করেই দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। ১৮ রানেই তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিক রহিম, ইয়াসির আলি আউট হয়ে ফিরে যান। এর অল্প সময় পরেই সাকিব-মহম্মদউল্লাহও ফিরে যান। ১১.২ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর কার্যত কেউ ভাবতেই পারেনি বাংলাদেশ ম্যাচ জিততে পারে। সবাইকে অবাক করে আফগানদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয় এনে দিলেন আফিফ-মিরাজ জুটি। টাইগারদের আর উইকেট খোয়াতে হয়নি। আফিফ ও মিরাজ অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের স্বাদ এনে দিয়েছেন।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ১১৫ বলে ৯৩* রানে অপরাজিত থাকেন। আফিফের ইনিংসে রয়েছে ১১ টি বাউন্ডারি এবং ১ টি ওভার বাউন্ডারি। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত রয়েছেন ১২০ বলে ৮১* রান করে। দুজন মিলে ২২৫ বল খেলে গড়েছেন ১৭৪* রানের জুটি। যা সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান।
চট্টগ্রামে এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। প্রথম দফায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও রহমত শাহ(৩৪), শাহিদি(২৭), নাজিবউল্লাহদের(৬৭)ইনিংসে ভর করে ২১৫ রান সংগ্রহ করেছিলো আফগানিস্তান।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন