কে এই দীপ সিধু? ট্র্যাক্টর প্যারেডের দিন লালকেল্লায় পতাকা লাগানো ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল

কে এই দীপ সিধু? ট্র্যাক্টর প্যারেডের দিন লালকেল্লায় পতাকা লাগানো ঘিরে সরগরম রাজনৈতিক মহল
প্রশান্ত ভূষণের ট্যুইট করা ছবি

প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল দিল্লি। বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ করা-কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া-ট্রাক্টর উল্টে এক কৃষকের মৃত্যু থেকে শুরু করে প্রতিবাদী কৃষকদের পুলিশকে পাল্টা আক্রমণ, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট, লালকেল্লায় গিয়ে সেখানে ধর্মীয় সংগঠনের পতাকা উত্তোলন - প্রজাতন্ত্র দিবসে এই সমস্ত ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজধানী। এইসমস্ত ঘটনায় গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছেন আভাস পেয়েছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, লালকেল্লায় যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কান্ড ঘটিয়েছে।

কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করছিলাম। দিল্লিতে পৌঁছালেও সেখানে বিক্ষোভ করার কোনো পরিকল্পনা ছিলনা আমাদের। এমনকি কোনো কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে লালকেল্লায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে ষড়যন্ত্র করে এই কান্ড ঘটানো হয়েছে।"

কৃষকদের এই অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ট‍্যুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, "মোদী এবং শাহের সাথে দীপ সিধু। উনিই আজ লালকেল্লাগামী উত্তেজিত জনতাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং লালকেল্লায় গিয়ে শিখদের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন।" পরের একটি ট‍্যুইটে এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, "কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করে বিজেপি কি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে?"

এই ঘটনার জন্য পাঞ্জাবি গায়ক-অভিনেতা দীপ সিধুর দিকে সরাসরি অভিযোগ তুলে কৃষক আন্দোলনের নেতা তথা স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেছেন, "দীপ সিধু বিজেপির সাথে যুক্ত। বিজেপি সাংসদ সানি দেওলের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহের সাথে ওঁর অনেক ছবি রয়েছে। লালকেল্লার ঘটনার সময় দীপ সিধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিভাবে মাইক হাতে উনি ওখানে পৌঁছে গেলেন? ঘটনার সময় কেন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলো না?" এই ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।

দীপ সিধুর সাথে সানি দেওলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন সানি দেওল। নিজের টুইটারে তিনি জানান, ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে তিনি বা তাঁর পরিবারের কারো সাথে দীপ সিধুর কোনো যোগাযোগ নেই।

যদিও এতো কিছুর পর নিজের কোনো ভুল দেখতে পাননি দীপ সিধু। কাল সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রয়োগ করেছেন তিনি।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in