ফলাফল যাই হোক আমি মানুষের পাশেই থাকবো - কান্তি গাঙ্গুলি

ভোটের আগেই কান্তিবাবু জানিয়েছিলেন - ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন - এই অঞ্চলের যে কোনো বিপর্যয়ে আমি এলাকার মানুষের পাশেই থাকবো। ভোটের ফলাফলের সঙ্গে মানুষের পাশে থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
কান্তি গাঙ্গুলী
কান্তি গাঙ্গুলীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

ঝড়ের আগে কান্তি আসে - রায়দীঘি অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে একথা ঘুরে বেড়ায়। আয়লা, ফনি, আমফানে এই অঞ্চলের মানুষ একডাকে যাকে কাছে পেয়েছে তিনি কান্তি গাঙ্গুলি। যদিও ২০১১, ২০১৬-তে তৃণমূল প্রার্থী দেবশ্রী রায় জয়ী হয়েছিলেন রায়দিঘিতে। এবারের জয়ী প্রার্থী তৃণমূলের অলোক জলদাতা। এই নিয়ে তৃতীয়বার হারের মুখ দেখলেন রায়দিঘির বাম প্রার্থী দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। বাম আমলে কান্তিবাবু সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন। সামলেছেন ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরও।

পরপর দুবার পরাজিত হবার পরেও ওই কেন্দ্রে বাম দাপট ফিরিয়ে আনার জন্য নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন প্রবীণ এই ব্যক্তি। কিন্তু যতই তিনি যে কোন বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান না কেন, আমজনতা যতই তাঁর ওপর ভরসা করুন বা তাঁর জনদরদী কাজকর্ম স্বীকার করুন না কেন, বাস্তবের রাজনীতির অংকটা যে আলাদা, সেটা একুশেও প্রমাণিত হল।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্র হাতের তালুর মতোই চেনেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এবার বামেরা বেশ কিছু তরুণ মুখের ওপর জোর দেবার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রবীণকেও প্রার্থী করেছিলো নির্বাচনে। রায়দিঘি কেন্দ্রেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো পোড়খাওয়া ব্যক্তিত্বের ওপর ভরসা করা হয়েছিল।

এবারে তাঁর লড়াই ছিল তৃণমূলের অলোক জলদাতা ও নির্বাচনের আগের মুহূর্তে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রার্থী শান্তনু বাপুলির সঙ্গে। এবার জোর প্রচারও চালিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

যদিও নির্বাচনী ফলাফল অনুসারে ১,১৪,৬৫১ ভোট পেয়ে রায়দিঘি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের অলোক জলদাতা। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয় স্থানে থাকা কান্তি গাঙ্গুলি ভোট পেয়েছেন ৩৬,৬৮৯। প্রাপ্ত ভোটের হার ১৫.৪৭%। বিজেপির শান্তনু বাপুলি পেয়েছেন ৭৯,৬০২ ভোট।

ভোটের আগেই কান্তিবাবু জানিয়েছিলেন - ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন - এই অঞ্চলের যে কোনো বিপর্যয়ে আমি এলাকার মানুষের পাশেই থাকবো। ভোটের ফলাফলের সঙ্গে মানুষের পাশে থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in