West Bengal: ভবানীপুরে উপনির্বাচন - মুখ্যসচিবকে উদ্ধৃত করে কমিশনের ঘোষণায় শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

ভবানীপুর নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক কমিশনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ভবানীপুরে উপনির্বাচন করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বিশেষ অনুরোধ’-এর ভিত্তিতে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল ছবি সংগৃহীত

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। গতকালই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষিত হয়েছে। এই কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদলের সম্ভাব্য প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বিগত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

ভবানীপুর কেন্দ্র নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের সূত্রপাত কমিশনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। যে ঘোষণায় কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, ভবানীপুরে উপনির্বাচন করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বিশেষ অনুরোধ’-এর ভিত্তিতে।

নির্বাচন কমিশন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে উদ্ধৃত করে শনিবারের ঘোষণায় জানিয়েছে, তিনি (মুখ্যসচিব) ভারতের সংবিধানে-এর ১৬৪(৪) ধারা উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, একজন মন্ত্রী, যিনি রাজ্য বিধানসভার সদস্য নন তিনি যদি পরবর্তী ছ’ মাসের মধ্যে নির্বাচিত না হন তাহলে তাঁর মন্ত্রীত্ব চলে যায়। যদি দ্রুত নির্বাচন না করা হয় তাহলে রাজ্যের শীর্ষপদ খালি হলে সাংবিধানিক সঙ্কট ও শূন্যতা তৈরি হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, জনস্বার্থে এবং রাজ্যে শীর্ষস্তরে শূন্যতা এড়াতে কলকাতার ১৫৯ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন জরুরি। উপনির্বাচন হলে যে কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান।

কমিশনের নোটিফিকেশনে জানানো হয়েছে, যদিও অন্য ৩১ বিধানসভা কেন্দ্র এবং ৩টি সংসদীয় কেন্দ্রে এখন নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, মুখ্যসচিবের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এবং পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুরোধের ভিত্তিতে কমিশন ১৫৯ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির মধ্যে কোনো আঁতাত নেই। দেশের ৩১টি আসনে কেন উপনির্বাচন হচ্ছে না? রাজ্যের মুখ্যসচিব কমিশনকে লিখেছেন যদি ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হয় তাহলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। মুখ্যসচিব এরকম লিখতে পারেন না।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং সেফোলজিস্ট বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি এরকম বলতে পারেন না। মমতা ব্যানার্জিকে বিজয়ী করার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়নি। এখনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি এবং কে প্রার্থী হবেন তা কোনোভাবেই তাঁর পক্ষে জানা অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের ভবানীপুর কেন্দ্র উপনির্বাচন এবং জঙ্গীপুর ও সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কমিশনের ঘোষণা অনুসারে এই তিন কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ফলাফল ঘোষিত হবে ৩ অক্টোবর।

- with Agency input

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in