

সরকারি স্কুলে গত দশ বছরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমছে উল্লেখযোগ্যভাবে। সরকারি পরিসংখ্যানপঞ্জি ইউ ডাইস যে সমীক্ষা-রিপোর্ট দিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া কমেছে আশি হাজার! উচ্চমাধ্যমিক অর্থাৎ পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কমেছে ৬০ হাজার। ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে কলকাতার প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী ছিল এক লক্ষ ৮১ হাজার ৫৬ জন। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সেই ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমে হয়েছে এক লক্ষ ২ হাজার ৪৪৬ জন। উচ্চ প্রাথমিকে ওই শিক্ষাবর্ষে ছিল এক লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০৩ জন।
গত ১০ বছরে সরকারি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমেছে। বদলে বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক গুণ। পুর- স্কুলগুলির হালও একই। প্রতিবছর পুর-স্কুলে পড়ুয়া কমছে। কলকাতার ২৭টি পুর- স্কুল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলকাতা সরকার পোষিত ও সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত ১৫টি স্কুল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কোথাও তিন, কোথাও বা দুয়ে নেমে গিয়েছিল।তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবছরই ইউ ডাইসের রিপোর্ট তৈরি করে শিক্ষা দফতর। সেই তথ্য বলছে, গত শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছিল ২৯ হাজার ৯১৮ জন। এই শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যা কমে গিয়েছে ২৭ হাজার ৩৯২জনে।
করোনা আবহে গত প্রায় দু'বছর পর স্কুল বন্ধ ছিল। গত ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল শুরু হয়েছে। অনলাইনে পড়াশোনা হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। শুধু ছাত্র-ছাত্রী কমেছে, তাই নয়। মানও ঠেকেছে তলানিতে। প্রথম শ্রেণির ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এক থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারে না। ১০-৯৯ পর্যন্ত সংখ্যা চিনতে পারে মাত্র কুড়ি শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন