

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার বদলে তিনি কষ্ট পেয়ে মরে যাবেন, এমনটাই জানালেন ভীমা-কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় ধৃত খ্রিস্টান মিশনারি স্ট্যান স্বামী। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, গ্রেপ্তারির পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে। তবে মুম্বইয়ের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার বদলে তিনি রোগে ভুগে মারা যাওয়া বেশি পছন্দ করবেন।
৮৪ বছরের স্বামীকে আগামী ৭ জুন পর্যন্ত তালোজা জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের বেঞ্চ। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে জেলের মধ্রেই যেন স্বামীর চিকিৎসা করা হয়, সেদিকে নজর রাখতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এলগার পরিষদ-মাওবাদী সংযোগ মামলায় ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারপতি এসজে কাঠাওয়ালা ও এসপি তাভাডের সামনে পেশ করা হয় স্ট্যান স্বামীকে। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতাল থেকে স্ট্যান স্বামীর স্বাস্থ্য রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়
সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, স্ট্যান স্বামী দুই কানেরই শ্রবণশক্তি খুবই কম, ওনার পায়ের উপরিভাগে পেশি দুর্বল ও ক্রমাগত কাঁপুনি হয়। ওনার হাঁটার জন্য লাঠি বা হুইলচেয়ারের প্রয়োজন। বাকি সবকিছু মিলিয়ে ওনার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা খ্রিস্টান মিশনারি স্ট্যানকে গত বছরের অক্টোবর মাসে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে পুণের ভীমা-কোরেগাঁওয়ে মাওবাদীদের সাহায্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনায় মাওবাদী ঘনিষ্ঠ সংগঠন এলগার পরিষদও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন