ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ছে, কিন্তু টিকাকরণ কমছে কেন?
ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু প্রতিদিন ডোজের সংখ্যা কমছে। কেন্দ্রের দেওয়া এই বিপরীতমুখী তথ্য আপাতত বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য বলছে, এখন মাসে ৮.৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। প্রতি মাসে প্রায় ২৭ লক্ষ ডোজ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সেই সংখ্যার ধারে কাছে পৌঁছচ্ছে না বাস্তব চিত্র। প্রতিদিন ১৫ লক্ষ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। গত মার্চে প্রায় ১৮ লক্ষ ডোজ এবং এপ্রিল মাসে ৩৫ লক্ষ করে ডোজ দেওয়া হয়।
তাহলে এখন এত টিকা যাচ্ছে কোথায়? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, রাজ্যের হাতে এক কোটি ডোজ রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে টিকা দিতে পারে। কিন্তু অভাব তো সর্বত্রই। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকে ১৮-৪৪ বছরের টিকাকরণ বন্ধ রয়েছে। মে মাসে প্রথম দশ দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দশ দিনে ডোজ কমে গিয়েছে গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীর, পঞ্জাব, তেলেঙ্গানায়।
গত জানুয়ারিতে টিকাকরণ শুরু করে সিরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেক। শীর্ষ আদালতের কাছে কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে, এই দুই সংস্থার মাসিক উৎপাদন সাড়ে 8 কোটি কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। দুই সংস্থার উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু টিকাকরণ কেন কমছে, এই প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই।
কেন্দ্র অবশ্য টিকাকরণ যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকে সাবধানবাণী করেছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের বিরুদ্ধে এধরনের কোনও অভিযোগ নেই। এদিকে সোমবার জানা গিয়েছে, ভারতীয় একটি সহযোগী সংস্থার সঙ্গে উৎপাদন চালু করছে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি উৎপাদনকারী সংস্থা আরডিআইএফ। প্যানাসিয়া বায়োটেক নামে এই সংস্থা হিমাচল প্রদেশে উৎপাদন শুরু করবে। প্রথম ব্যাচের টিকা পাঠানো হবে গ্যামালিয়া সেন্টারে।
কেন্দ্রে হলফনামা অনুযায়ী, এখন দেশে মাসে সাড়ে ছয় কোটি ডোজ কোভিশিল্ড এবং দু'কোটি কোভ্যাকসিন উৎপন্ন হয়। জুলাইয়ের শেষে উৎপাদন বাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত বায়োটেক। এখন মাসে ৩০ লক্ষ স্পুটনিক' ভি উৎপন্ন হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন