CoWin অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করলে তবেই টিকা, কিন্তু প্রান্তিক মানুষেরা নথিভুক্ত হবেন কিভাবে ?

ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ৫৮ জন ইন্টারনেট পরিষেবা সাবস্ক্রাইব করেন। এদিকে যাঁরা ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করেন, তাঁরাও যে বিষয়টি সম্পর্কে খুব একটা জানেন, তাও নয়।
CoWin অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করলে তবেই টিকা, কিন্তু প্রান্তিক মানুষেরা নথিভুক্ত হবেন কিভাবে ?
ফাইল চিত্র
Published on

গত ১ মে থেকে তৃতীয় পর্বে অর্থাৎ ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত না থাকার দরুন তা করা সম্ভব হয়নি। তবে কোউইন অ্যাপের মাধ্যমে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করেছেন, ভ্যাকসিন এলে তাঁরা টিকা পাবেন। কিন্তু এ-তো গেল শহর, শহরতলি, শহরাঞ্চলের কথা। কিন্তু গ্রাম বা মফস্বল?‌ সেখানকার ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া কীভাবে হবে? তাঁরা কি পারছেন ঠিকঠাকভাবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে?

না, তা না হওয়াতেই ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বন্ধ পড়ে রয়েছে একের পর এক টিকাকরণ কেন্দ্র। প্রধান সমস্যা হল, কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হলে প্রয়োজন ইন্টারনেট পরিষেবা। যেটা ভারতের মতো দেশে বেশিরভাগ মফস্বল বা গ্রামেই নেই। সফটওয়্যার ফ্রিডম ল সেন্টারের আইনি উপদেষ্টা অপূর্ব সিং জানালেন ট্রাইয়ের পরিসংখ্যান। বললেন, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ৫৮ জন ইন্টারনেট পরিষেবা সাবস্ক্রাইব করেন। এদিকে যাঁরা ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করেন, তাঁরাও যে বিষয়টি সম্পর্কে খুব একটা জানেন, তা নয়। দেশে ইন্টারনেট লিটারেসির হার কম। তাঁর প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সবাই নাম নথিভুক্ত করবেন?‌ এছাড়াও রয়েছে ভাষা সমস্যা।

কোউইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে স্টেপ ধরে ধরে ইংরেজিতেই করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপেও টিকার জন্য ইংরেজি নির্দেশিকা অনুযায়ীই নাম নথিভুক্ত করতে হয়। অপূর্ব সিংয়ের কথায়, দেশের বেশিরভাগ মানুষ ইংরেজিতে সড়গড় নন। অনেকেই জানেনও না। সেখানে তাঁরা টিকার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?‌ সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, টিকাকেন্দ্রে ভিড় এড়ানোর জন্যই অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনে যাঁরা পারবেন না, তাঁরা কল সেন্টার বা কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু ইন্টারনেট সমস্যা, ভাষা সমস্যা এড়িয়ে কতজন নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারওর কাছেই।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in