উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়: হিমবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে সরকার, দাবি বিজ্ঞানীদের

২০১৭ সালে বিজ্ঞানীদের একটি দল হিমালয়ের হিমবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন।রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই এলাকায় নতুন করে কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র গড়ে তুলে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া উচিত হবে না।
চামোলিতে আচমকা নন্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে তুষারধস
চামোলিতে আচমকা নন্দাদেবী হিমবাহ ভেঙে তুষারধসট্যুইটারের ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট
Published on

২০১৭ সালে বিজ্ঞানীদের একটি দল হিমালয়ের হিমবাহ নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছিলেন। কিন্তু তা একবারের জন্যও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। যার ফলস্বরূপ রবিবার চামোলী জেলার উপর ভয়াবহ তুষারধসের বিপর্যয় দেখল দেশবাসী। ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির বিজ্ঞানীরা নন্দাদেবী উপত্যকার মধ্যে দিয়ে হিমালয়ের থেকে বয়ে আসা প্রবাহের গভীরতা নিয়ে এই রিপোর্টটি পেশ করেছিলেন। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল, এই এলাকায় নতুন করে কোনও বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র গড়ে তুলে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়া উচিত হবে না।

রবিবার তুষারধস নেমে অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর তীব্র জলোচ্ছ্বাসে বহু গ্রাম ভেসে যাওয়ার পর ২০১৭ সালের এই সমীক্ষার নেতৃত্বে থাকা সিনিয়র সায়েনটিস্ট প্রদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, 'আমাদের পরামর্শ ও মতামত সরকারকে বোঝাতে আমরা অক্ষম হয়েছিলাম।' নদীগুলোর উপর প্রকল্প তৈরি করার আগে বিজ্ঞানীদের দেওয়া কোনও পরামর্শই মূলত মানতে চায়নি প্রশাসন। ঋষিগঙ্গার মতো নদীগুলোর উপর প্রকল্প গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছিল, যেখানে এই নদীগুলোর মধ্যে থেকেই হিমবাহ বয়ে আসে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

হিমবাহর অবস্থান সম্বন্ধে জানতে এই মুহূর্তে কোনও প্রতিষ্ঠানই নেই ভারতে। ডব্লুউআইএইচজি নামে যা একটি প্রতিষ্ঠান ছিল, তাও গত বছর বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যেসব নদী থেকে হিমবাহ বয়ে আসে, সেখানে প্রকল্প গড়ে তোলা হল কীভাবে? প্রশ্ন তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আরও বলেছেন, নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার আগে প্রশাসন একবারের জন্যও হিমবাহর সমীক্ষা করে দেখেনি। যা করাটা বাধ্যতামূলক ছিল। যদি এই নিয়ে রিপোর্ট দায়ের করা হয়, তাহলে প্রশাসনকে এর জবাব দিতে হবে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in