Uttar Pradesh: রাজ্য কংগ্রেসের হাল ফেরাতে উদ্যোগ - প্রিয়াঙ্কার প্রচেষ্টায় জল ঢালছেন কংগ্রেসের একাংশ

সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা জানিয়েছেন দল থেকে অনৈতিক ভাবে বিশিষ্ট এবং বর্ষীয়ান যেসব নেতৃত্বকে ২০১৯ সালে বহিষ্কার করা হয়েছিলো তাঁদের দলে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
রবিবার বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা
রবিবার বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাছবি কংগ্রেস ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

বিধানসভা নির্বাচন ক্রমশ এগিয়ে এলেও উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থামার কোনো লক্ষণ নেই। রাজ্য কংগ্রেসের এক অংশের বক্তব্য অনুসারে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা চাইলেও তাঁকে ঘিরে থাকা গোষ্ঠী নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে দলে কোনো সংস্কার চাইছেন না।

সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা জানিয়েছেন দল থেকে অনৈতিক ভাবে বিশিষ্ট এবং বর্ষীয়ান যেসব নেতৃত্বকে ২০১৯ সালে বহিষ্কার করা হয়েছিলো তাঁদের দলে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রিয়াঙ্কার এই ঘোষণার পরেই বেশ কিছু বহিষ্কৃত কংগ্রেস নেতার কাছে ফোন যায় এবং কংগ্রেসে ফেরার জন্য তাঁদের ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখতে বলা হয়। যা নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

রাজ্য বিধান পরিষদের প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য হাজি সিরাজ মেহেন্দি জানিয়েছেন, “আমরা কেন ক্ষমা চাইব? আমরা কী করেছি? আমরা ১৪ নভেম্বর ২০১৯-এ নেহেরু জয়ন্তী পালন করার জন্য এক বৈঠক করেছিলাম। তারপরেই আমাদের দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। যদি নেহেরুর জন্মদিন পালন কংগ্রেস বিরোধী কাজ হয় তাহলে আমি সেই দলের বাইরেই থাকতে চাই।” প্রসঙ্গত, রাজ্য কংগ্রেসের কোনো এক নেতা তাঁকে ফোন করে কংগ্রেসে ফেরার জন্য দু’লাইন লিখে ক্ষমা চাইতে বলেন।

অন্য এক বহিষ্কৃত নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যদেব ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, তিনিও এক ফোন কল পেয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছে যদি তিনি কংগ্রেসে ফিরতে চান তাহলে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তাঁর বক্তব্য, আমরা কীসের জন্য ক্ষমা চাইবো? নেহেরুর জন্মদিন পালন কীভাবে দলবিরোধী কাজ হয়? আমি বহিষ্কৃত হয়ে থাকতেই পছন্দ করবো।

কংগ্রেসের বেশ কিছু বহিষ্কৃত নেতার বক্তব্য, কংগ্রেস গত কয়েক মাসে জনমানসে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছে। যদিও এই সময়েই কংগ্রেস ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে। এঁরা মূলত দল ছাড়ছেন কারণ দলের রাজ্য নেতৃত্বের ব্যবহার এবং প্রিয়াঙ্কার অনুগত গোষ্ঠীর প্রভাব তাঁরা মানতে পারছেন না।

রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক এবং রাজ্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি গয়াদীন অনুরাগী এবং প্রাক্তন বিধায়ক বিনোদ চতুর্বেদী সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। অনুরাগীর বক্তব্য, যদি আমাদের নেতারা আমাদের সঙ্গে দেখা না করেন, আলোচনায় না বসেন তাহলে দলে থাকার কোনো অর্থ নেই।

এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রয়াত কমলাপতি ত্রিপাঠীর পরিবারের সদস্য কংগ্রেসের সহ সভাপতি ললিতেশ ত্রিপাঠী কংগ্রেস ছাড়েন। ওই পরিবারের আরও এক সদস্য এবং বর্ষীয়ান নেতা রাজেশ পতি ত্রিপাঠীকে রবিবার বারাণসীতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ।

এছাড়াও প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ইমরান মাসুদ প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বদলে সমাজবাদী পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়তে ইচ্ছুক। রাজনৈতিক মহলের মতে তাঁর দল ছাড়া এখন সময়ের অপেক্ষা।

এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, প্রিয়াঙ্কা কংগ্রেসের হাল ফেরাতে কঠোর পরিশ্রম করছে। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা বেশ কিছু নেতা তাঁর উদ্যোগে জল ঢেলে দিচ্ছে। সবসময় নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করতে চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি প্রিয়াঙ্কার উচিৎ সমস্ত বিষয় নিজের হাতে নেওয়া এবং দলের নেতা কর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলা।

- with Agency inputs

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in