ডিসেম্বর মাসে দেশে বেকারত্ব বেড়েছে ১ কোটি ১৩ লক্ষ - CMIE রিপোর্ট

সীতারাম ইয়েচুরি
সীতারাম ইয়েচুরি ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

"মোদী সরকারের নীতি ভারতের জনবিন্যাসের সুফল নষ্ট করছে। বেকারত্ব বেড়েই চলেছে, মহামারী-পূর্ব সময়ের তুলনায় এই মুহূর্তে শ্রমিক অংশগ্রহণের হার অর্ধেক। নগদ অর্থ প্রদান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে চাহিদা বৃদ্ধিতে শক্তিশালী উদ্দীপনা প্রয়োজন।" রবিবার এক ট‍্যুইটবার্তায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে একথা বলেছেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব নিয়ে Centre for Monitoring Indian Economy (CMIE)-এর করা সাম্প্রতিকতম রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এই ট‍্যুইট করেছেন সীতারাম ইয়েচুরি। নিজের ট‍্যুইটের সাথে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও উল্লেখ করেছেন তিনি। CMIE-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে দেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯.১ শতাংশ, নভেম্বর মাসে যা ছিল ৬.৫ শতাংশ। লকডাউন পরবর্তী সময়ে বেকারত্বের হার সবথেকে বেড়েছে ডিসেম্বর মাসে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ব‍্যাপক হারে বেড়েছে। নভেম্বর মাসে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার যেখানে ছিল ৬.২৪ শতাংশ, ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.১৫ শতাংশে। শহুরে এলাকায় নভেম্বর মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৭.০৭ শতাংশ, ডিসেম্বর মাসে যা বেড়ে হয়েছে ৮.৮৪ শতাংশ।

এমনকি গত মাসে ৪.৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থান কমে মোট কর্মসংস্থান ৩৮৮.৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, নভেম্বর মাসে যা ছিল ৩৯৩.৬ মিলিয়ন। ফলস্বরূপ ভারতে বেকারের সংখ্যা ডিসেম্বর মাসে ১১.৩ মিলিয়ন বেড়ে হয়েছে ৩৮.৭ মিলিয়ন, নভেম্বর মাসে যা ছিল ২৭.৪ মিলিয়ন। লকডাউনের আগে যা ছিল এটি তার চেয়েও বেশি। ২০১৯-২০ সালে ভারতে বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৩.৩ মিলিয়ন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে লকডাউন ঘোষণার সময় এটি বেড়ে হয় ৩৭.৯ মিলিয়ন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in