উত্তরোত্তর বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের তেজ, বিভিন্ন সীমান্তে অব্যাহত কৃষক মিছিল

গত দু-তিন দিনে সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজীপুর সীমান্তে নিরাপত্তা ব‍্যাপক আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দলে দলে বহু মানুষ এসে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই তরুণ।
গাজীপুর সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ
গাজীপুর সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভঅভয় চৌতালার ট্যুইটার হ্যান্ডেলের সৌজন্যে
Published on

তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন আজ ৬৭ দিনে প্রবেশ করেছে। এতোদিন পরে আন্দোলনের তেজ ফিকে হওয়া তো দূরের কথা, বরং উত্তরোত্তর তা বাড়ছে। বিশেষত প্রজাতন্ত্র দিবসের পর তা আরো তীব্র আকার ধারণ করছে। দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে থাকা আন্দোলনস্থলগুলির দিকে কৃষকদের মিছিল অব‍্যাহত রয়েছে।

গত দু-তিন দিনে সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজীপুর সীমান্তে নিরাপত্তা ব‍্যাপক আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দলে দলে বহু মানুষ এসে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই তরুণ। "কিষাণ একতা জিন্দাবাদ", "জয় জওয়ান, জয় কিষাণ"-এ গমগম করছে আন্দোলনস্থলগুলি।

প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা তান্ডবের পরই কৃষকদের ওপর চাপ বাড়ছিল। রাতের মধ্যেই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু গাজীপুর সীমান্ত খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। এই নির্দেশ কার্যকর করাতে প্রচুর র‍্যাফ ও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল সীমান্তে। কৃষকরাও বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই সমস্ত পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছিল কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইতের মধ‍্যরাতের কান্না, কৃষকদের‌ কাছে আন্দোলনস্থল ছেড়ে না যাওয়ার আকুল আবেদন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল এই ভিডিও।

এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আরো বহু কৃষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এই আন্দোলনে যোগ দিতে রওনা দেন। যেমন, উত্তরপ্রদেশের মইনপুরি থেকে আগত দুই ব‍্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁরা রাকেশ টিকাইতের ভিডিও দেখে আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছেন। হরিয়ানায় বিজেপির জোটসঙ্গী জেজেপির একাধিক নেতা ও জাঠ সম্প্রদায়ের নেতাও সমর্থন জানিয়েছেন রাকেশ টিকাইতকে। জেজেপি নেতা দিগ্বিজয় চৌটালা টিকাইতকে 'প্রকৃত দেশপ্রেমিক' আখ‍্যা দিয়েছেন।

প্রজাতন্ত্র দিবসের পরই দিল্লি সীমান্তে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এখনও পর্যন্ত তা বন্ধ রয়েছে। এতোকিছুর পরেও আন্দোলনকারীদের জেদ এতোটুকু কমেনি। আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনেকেই কয়েক সপ্তাহ ধরে রিলে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in