গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় এবছর অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বেড়েছে ৯১ শতাংশ। ফলে এই মুহূর্তে দেশে অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লক্ষেরও বেশিতে। তথ্য জানার অধিকার আইনে শিশু অপুষ্টির এমনই চিত্র তুলে ধরল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। আরো বেশি উদ্বেগজনক তথ্য হল এই শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, বিহার এবং গুজরাট।
গত দেড় বছর ধরে করোনা আবহে দেশীয় অর্থনীতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মানুষের আয় কমেছে বহুগুণ। স্বাভাবিক ভাবে তার জের পড়েছে পারিবারিক এবং সাংসারিক জীবনে। পরিবারের সদস্যদের মুখে দু'মুঠো অন্নের যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে বহু মানুষকে। ফলে শিশুদের অপুষ্টি বেড়েছে ক্রমশ।
মন্ত্রক জানিয়েছে, অতিমারীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির আকাল গরিবদের মধ্যে আরও বাড়তে পারে। গত ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, গুরুতর অপুষ্টির শিকার প্রায় ১৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯০২টি শিশু। মাঝারি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে প্রায় ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪২০টি শিশু। সব মিলিয়ে ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংখ্যাটা ৩৩ লক্ষ ২৩ হাজার ৩২২টি। গতবারের ৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৬ সংখ্যাটা বেড়ে ১৭ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
‘চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ইউ’ সংস্থার সিইও পূজা মারওয়াহা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, অতিমারীর জেরে গত এক দশকে যা উন্নতি হয়েছিল, তার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় মিড ডে মিলও মিলছে না। ফলে খাদ্য সংকট আরও বেড়েছে। এদিকে অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা শিশুদের শারীরিক শক্তি কম থাকে। ফলে ওই শিশুদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসক অনুপম সিবাল। তাঁর মতে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Hunger Index) নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়েও ভারতের অবস্থা খারাপ। ২০২০ সালের তুলনায় তালিকায় আরও নিচে নেমে গিয়েছে ভারত।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।