

বাজারে চালু বিদেশি ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপরে নজর রাখছে সরকার। অর্থনৈতিক দুর্নীতি প্রতিরোধী সংস্থা হাইপার ফান্ড নামে একটি কোম্পানির ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে হাইপার টেক গ্রুপের হাইপার ফান্ড সম্প্রতি নজরাধীনে এসেছে। জানা গেছে বিকেন্দ্রীকৃত আর্থিক পরিকাঠামো দিতে ওই গ্রুপ ২০২০র মাঝামাঝি হাইপার ফান্ড চালু করে।
কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুযায়ী রায়ান ঝু এই কোম্পানির কর্ণধার। তবে বহুস্তরীয় বিপণন মডেলের সাহায্যে হাইপার ফান্ড বেশি রিটার্নের লোভ দেখিয়ে লগ্নিকারক জোগাড় করে। যা সাধারণত সব পনজি স্কিমেই হয়ে থাকে। এতেই প্রথমে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
বিভিন্ন রাজ্য থেকেই এই ফান্ডগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে থাকে। ভারতে আরবিআই,কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এবং সেবি ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন নিয়ে সতর্ক করে দেয়। আরবিআই খুব শীঘ্রই ভারতের সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি ই-রুপি চালু করার পরিকল্পনা করছে।
অর্থ মন্ত্রক এও জানিয়েছে ভার্চুয়াল কারেন্সি বৈধ নয়। আরবিআইও জানিয়েছে বিটকয়েন বা কোন ভার্চুয়াল কারেন্সি নিয়ে কারবার করতে কোন কোম্পানি বা সংস্থাকে লাইসেন্স বা অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পনজি স্কিম চালানোর জন্য ২০১৮র জুনে দিল্লী বিমানবন্দরে পুনে পুলিশ গেফতার করে অমিত ভরদ্বাজ এবং তার ভাই বিবেক ভরদ্বাজকে। ভরদ্বাজ তার নিজস্ব বিটকয়েন চালিয়ে সারা দেশে ৮০০০এর বেশি মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ২০০০কোটি টাকা প্রতারণা করেছে।
ব্রিটেনেও এই ধরনের ফান্ডের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে। জানা গেছে হাইপার টেক গ্রুপ কাজ চালায় হংকং থেকে। এটা সর্বজনস্বীকৃত যে এই ধরনের কোম্পানিগুলি অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। সেই সঙ্গে নানা অভিনব কায়দায় বিপণন করে মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন