আবহাওয়া নিয়ে আশঙ্কাজনক রিপোর্ট পেশ করল ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন। রিপোর্ট বলছে, মাত্র কুড়ি বছরের মধ্যে শুকিয়ে যাবে কিলিমাঞ্জারো ও কেনিয়া পর্বতশিখরের হিমবাহ। উষ্ণায়নে তীব্রতা বাড়বে, সাথে সাথে আফ্রিকা মহাদেশের ১৩০ কোটি মানুষের ক্ষুধার জ্বালা প্রকট হবে।
বিজ্ঞানীরা বাঙালির 'চাঁদের পাহাড়ের' শুধু প্রাকৃতিক শোভা নিয়ে চিন্তিত নন, তাঁরা উদ্বিগ্ন আরও একটি বিষয়ে। তাঁদের আশঙ্কা, জলবায়ু ও পরিবেশের ভয়াবহ সঙ্কটের সূচক হিমবাহ শুকিয়ে যাওয়া। বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্র চার শতাংশ আফ্রিকা থেকে নির্গত হয়। এই গ্যাসের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে।
সংগঠনের সচিব পেটেন্ট টাটালাস বলেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে সাহারা সংলগ্ন এলাকায় ২০৫০-এর মধ্যে তিন শতাংশ উৎপাদন কমে যাবে। পরিবেশের সংকট পড়বে খাদ্য উৎপাদনে। বাড়বে খাদ্যের অভাব। খরা ও বন্যাও বাড়বে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধ অবশ্যই বড় কাজ। সঙ্গে হাতে নিতে হবে জলবায়ু ও পরিবেশ উন্নয়নমূলক প্রকল্প। জলবায়ু, জল ও পরিবেশ সংরক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। আগাম সতর্কতা জারির জন্য প্রয়োজন প্রযুক্তির ব্যবহার।
ডব্লুএমও'র এই রিপোর্ট তৈরির কাজে সাহায্য করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন, আফ্রিকা অর্থনৈতিক কমিশনও। আন্তর্জাতিক স্তরে, বিশেষ করে রাষ্ট্রসংঘের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে যে, জলবায়ু উত্তপ্ত করার জন্য দায়ী গ্যাস নির্গমন বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার।
রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বৈঠক শুরু হয়েছে স্কটল্যান্ডে। আগামী ৩১ আগস্ট বিভিন্ন দেশের প্রধানরা আলোচনায় বসবেন। এরই মধ্যে ভারত দাবি করেছে, জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন