
প্রয়াত তেলেঙ্গানার ‘বনজীবী’ দারিপল্লি রামাইয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শনিবার সকালে খাম্মান জেলার রেডিপল্লি গ্রামে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
দারিপল্লি রামাইয়া পরিচিত ছিলেন ‘চেট্টু (গাছ) রামাইয়া’ বা ‘বনজীবী’ নামে। খাম্মান জেলায় গত কয়েক দশকে এক কোটিরও বেশি বৃক্ষরোপণ করেছেন রামাইয়া। তাঁর এই কাজের জন্য ২০১৭ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয় ‘বনজীবী’ রামাইয়াকে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সমাজের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল”। তিনি আরও জানিয়েছেন, রামাইয়ার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, পরিবেশ এবং প্রকৃতি ছাড়া মানবজাতির বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এক জন ব্যক্তি যে ভাবে নিজের হাতে এক কোটিরও বেশি গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন ঘটিয়েছেন, তা অনবদ্য। সমাজ এবং দশের কথা ভেবেই তিনি নিজের জীবনকে এই কাজে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। ‘বনজীবী’র এই কৃতিত্ব অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার, বিআরএস সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাও।
কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, রামাইয়া তাঁর জীবনদ্দশায় এক কোটিরও বেশি চারা রোপণ করেছিলেন। প্রকৃতি ও পরিবেশকে রক্ষা এবং এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ছিলেন।
প্রয়াত আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সঞ্জয় কুমার বলেছিলেন, সবুজ ক্রুসেডার, যিনি পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন, তাঁর মৃত্যু তেলেঙ্গানার এবং প্রকৃতির ক্ষতি। কেসিআর জানিয়েছেন, জীবন পরিবেশ সংরক্ষণে রামাইয়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একজন রোল মডেল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন