১১৫ তম স্থান থেকে দু’ধাপ নেমে ১১৭ তম স্থানে পৌঁছালো ভারত। সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ২০৩০-এর এই তালিকায় রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্ত। তালিকায় দু’ধাপ অবনমন ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ – ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের নীচে ভারত স্থান পেয়েছে। ভারতের মোট এসডিজি স্কোর ১০০-র মধ্যে ৬১.৯। মোট ১৭টি ক্ষেত্রের ওপর ভিত্তি করে এই স্থান নির্ণয় করা হয়।
ভারতের এই তালিকায় শীর্ষে আছে কেরালা, হিমাচল প্রদেশ এবং চন্ডীগড়। মূলত এই তিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওপর ভিত্তি করেই ভারতের এসডিজি স্কোর বেড়েছে। অন্যদিকে বিহার, ঝাড়খন্ড এই তালিকায় ভারতের মধ্যে সবার নীচে স্থান পেয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে ২০৩০ সালের লক্ষ্যে পৌঁছতে ঝাড়খন্ড পিছিয়ে আছে পাঁচ ক্ষেত্রে, যেখানে বিহার পিছিয়ে আছে সাতটিতে।
এবারের হিসেবে ভারতের দু’ধাপ অবনমনের পেছনে খাদ্য সুরক্ষা এবং লিঙ্গ বৈষম্যকে গুরুতর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলো মিলে সাস্টেনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ২০৩০-এর ঘোষণা করে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ২০৩০ সালকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই পরিকল্পনা করা হয়।
১৭ দফা এই এসডিজি তালিকায় আছে এসডিজি-১ – দারিদ্র্য দূরীকরণ, এসডিজি-২ – ক্ষুধা দূরীকরণ, এসডিজি ৩ – সুস্বাস্থ্য, এসডিজি ৪ – শিক্ষা, এসজিডি ৫ – লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, এসডিজি ৬ – পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, এসডিজি ৭ – সহজ প্রাপ্য শক্তি, এসডিজি ৮ – কর্ম ও আর্থিক অগ্রগতি, এসডিজি ৯ – শিল্প, পরিকাঠামো, এসডিজি ১০ – বৈষম্য দূরীকরণ প্রভৃতি।
সদ্য প্রকাশিত এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে এনভায়রনমেন্ট পারফরমেন্স ইন্ডেক্স (ইপিআই) অনুসারে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬৮।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।