ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ দিন ধরে আন্দোলনে সামিল মুথুট ফিনান্সের কর্মীরা

শুধু সংস্থার কর্মীরাই নয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই প্রতিবাদ মঞ্চে অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যান্য ইউনিয়নের তরফেও এই আন্দোলনে মুথুট ফিনান্সের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ দিন ধরে আন্দোলনে 
সামিল মুথুট ফিনান্সের কর্মীরা
Published on

কেরলে মুথুট ফিনান্সের বিভিন্ন শাখা থেকে মোট ১৬৪ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে কর্মীদের বিক্ষোভ আজ ৩৭ দিনে পড়ল। গত বছরই আন্দোলন শুরু করেছিলেন মুথুট ফিনান্স এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের অধীনে থাকা কর্মীরা। কিন্তু কোভিডের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ ছিল আন্দোলন। গত ৪ জানুয়ারি তারা ফের প্রতিবাদে ফিরে গিয়েছেন। ম্যানেজমেন্টের কর্মী বিরোধিতার নীতির বিরুদ্ধে ফের তারা আন্দোলন শুরু করেছেন।

এই নিয়ে সংস্থার কর্মী-বিরোধী নীতির বিরোধিতায় আন্দোলন সবমিলিয়ে ৪২৫ দিন অতিক্রম করেছে। কোচিতে সংস্থার প্রধান অফিসের সামনেই প্রতিবাদের মূল মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে। শুধু সংস্থার কর্মীরাই নয়, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই প্রতিবাদ মঞ্চে অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যান্য ইউনিয়নের তরফেও এই আন্দোলনে মুথুট ফিনান্সের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেকদিন ইউনিয়নগুলো এবং সংস্থার কর্মীরা এই আন্দোলন মঞ্চে এসে মুথুটের কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেন। ৩ তারিখ এর্নাকুলাম ডিস্ট্রিক্ট প্রাইভেট হসপিটাল এমপ্লয়ীজ অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি কোচিন স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন ওয়ার্কার অ্যাসোসিয়েশন এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল।গত ৫ ফেব্রুয়ারি আশা কর্মীরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন।

নন ব্যাংকিং অ্যান্ড প্রাইভেট ফিনান্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সিসি রথীশ জানিয়েছেন, এক বছর হয়ে গিয়েছে মুথুট ফিনান্সের ম্যানেজমেন্ট ১৬৪ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে। যার মধ্যে কিছু ইউনিয়নের নেতাও রয়েছেন। বেশ কিছু শাখাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও কোভিডের কারণে কিছু সময়ের জন্য আন্দোলন থেকে সরে এসেছিলেন ইউনিয়নের সদস্যরা।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in