

বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় বড়োসড়ো ধস নামলো শেয়ার বাজারে। শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ব বাজারের পতন এবং প্রফিট বুকিং-এর কারণেই এদিন সেনসেক্স এবং নিফটিতে পতন হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই গতকালের বন্ধের সময় থেকে এদিন বাজার বন্ধের সময় পর্যন্ত বাজার পড়েছে প্রায় ১.৫ শতাংশ।
এদিন সকালে বাজার খোলার সময় থেকেই বাজারে পতনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছিলো। বুধবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিলো ৬১,১৪৩.৩৩ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স খোলে ৬১,০৮১ পয়েন্টে। এটাই এদিনের সর্বোচ্চ স্তর। একসময় বাজার নেমে যায় ৫৯,৯৭৭.৫৮ পয়েন্টে। যা এদিনের সর্বনিম্ন স্তর। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় ১,১৫৮.৬৩ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স দাঁড়িয়ে আছে ৫৯,৯৮৪.৭০ পয়েন্টে।
অন্যদিকে নিফটির ক্ষেত্রে গতকাল যা বন্ধ হয়েছিলো ১৮,২১০.৯৫ পয়েন্টে এদিন তা খোলে ১৮,১৮৭.৬৫ পয়েন্টে। দিনের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন স্তর যথাক্রমে ১৮,১৯০.৭০ এবং ১৭,৭৯৯.৪৫ পয়েন্ট। এদিন নিফটি ৩৫৩.৭০ পয়েন্ট নেমে বন্ধ হয়েছে ১৭,৮৫৭.২৫ পয়েন্টে।
আন্তর্জাতিক স্তরেও গতকাল থেকেই এশিয়ান শেয়ারের পতন শুরু হয়। মূলত কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতির ধীর গতিতে এগোনো এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবার কারণে এই পতন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন বাজারে রিয়েলিটি, পাওয়ার, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, মেটাল, ব্যাঙ্ক, টেলিকম, এফএমসিজি – সব ক্ষেত্রেই শেয়ারের পতন হয়েছে।
এদিনের বাজারে দাম পড়েছে নেসলে ইন্ডিয়া, বাজাজ ফিন সার্ভিস, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, ব্রিটানিয়া, এইচডিএফসি, হিরো মোটর কর্প, আরআইএল, টাটা কনজিউমার, ইনফোসিস, এইচডিএফসি লাইফ, এসবিলাইফ, ভারতী এয়ারটেল, টিসিএস, গ্রাসিম, টেক মাহিন্দ্রা, হিন্দালকো, সিপলা, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক প্রভৃতি শেয়ারের।
- with Agency Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন