Rajasthan: বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে, বসুন্ধরা শিবিরের বিধায়ককে শো-কজ

বৃহস্পতিবারই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া শিবিরের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রোহিতাশ্ব শর্মাকে শো-কজ করলো রাজস্থান বিজেপি। তিনি রাজ্য বিজেপি ইউনিটের সমালোচনা করেছিলেন।
সতীশ পুনিয়া ও বসুন্ধরা রাজে
সতীশ পুনিয়া ও বসুন্ধরা রাজেফাইল ছবি সংগৃহীত

দুদিন আগেই বিজেপি বিধায়কদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দলের রাজস্থান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ সিং। আর বৃহস্পতিবারই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া শিবিরের বিধায়ক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রোহিতাশ্ব শর্মাকে শো-কজ করলো রাজস্থান বিজেপি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি খোলাখুলি রাজ্য বিজেপি ইউনিটের সমালোচনা করেছিলেন।

বিজেপি বিধায়ক রোহিতাশ্ব শর্মা সম্প্রতি আলওয়ারের এক দলীয় সভায় প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন, রাজস্থান বিজেপি কেন্দ্রের কংগ্রেসের মত, বিরোধী হিসেবে তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। যেখানে সকলেই নিজের নিজের অফিস থেকে কাজ করে, গ্রামে যায় না। যার ফলে দলকে নির্বাচনে পরাজিত হতে হয়। সম্প্রতি রাজস্থানে তিন আসনের উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজিত হয়েছে।

শর্মার কাছে তাঁর এই বিবৃতির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি ১৫ দিনের মধ্যে এই শোকজের উত্তর না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।

এই নোটিশ পেয়ে শর্মা জানিয়েছেন, আমি গর্বিত যে প্রয়াত ভৈরো সিং শেখাওয়াত আমার আদর্শ। বসুন্ধরা রাজে আমার নেত্রী এবং বিজেপি আমার মা। মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে কেউ আলাদা করতে পারেনা। যারা আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছে তাদের কারোর আমাকে ফোন করার বা আমার সঙ্গে কথা বলার মত সাহস নেই। আমি দিল্লি যাবো এবং অনশন করবো।

বিজেপি সূত্র অনুসারে, শর্মাকে দিয়ে শোকজ পর্ব শুরু হল। এরপর আরও অনেক নেতাকেই শোকজ করা হবে। সম্প্রতি বসুন্ধরা শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজস্থানে বিজেপি মানে বসুন্ধরা, এবং বসুন্ধরা মানেই বিজেপি। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ে।

দলের মূল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অনেক দিনের। যার একদিকে আছেন রাজ্য বিজেপির প্রধান, আরএসএস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সতীশ পুনিয়া এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। সতীশ পুনিয়াকে দলের রাজ্য সভাপতি করার পরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান বসুন্ধরা রাজে। যদিও তাঁর অনুগামীরা যথেষ্ট শক্তিশালী।

বসুন্ধরার অনুগামীরা বসুন্ধরার পক্ষে সুর চড়ানোর পরেই সতীশ পুনিয়া শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচাঁদ কাটারিয়া জানান, কোনো নেতাই দলের থেকে বড়ো নন। এর পরেই ঘরোয়া কোন্দল সামাল দিতে বিজেপির রাজস্থান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত অরুণ সিং জয়পুরে আসেন।

- with IANS input

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in