হকারির জন্য মাসে মাসে দিতে হবে টাকা, রেলের হকারদের দায়িত্ব এবার বেসরকারি সংস্থার হাতে!

সূত্রের খবর অনুযায়ী, হকারি করার জন্য ৫৯০ টাকা দিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পাশাপাশি অনুমতি চেয়ে প্রত্যেক মাসে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে হাজার টাকা।
হকারির জন্য মাসে মাসে দিতে হবে টাকা, রেলের হকারদের দায়িত্ব এবার বেসরকারি সংস্থার হাতে!
ছবি - সংগৃহীত
Published on

রেলস্টেশনের কো–ব্র‌্যান্ডিংয়ের দায়িত্ব বর্তেছিল বেসরকারি হাতে। এবার ট্রেনের হকারির স্বত্বও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও বিষয়টি ‘বিক্রি’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। হকারির বেসরকারিকরণের জেরে ট্রেনে বা স্টেশনে হকারির জন্য এখন থেকে হকারদের টাকা দিতে হবে বেসরকারি সংস্থাকে।

শুধু তাই নয়, হকারি করার জন্য ৫৯০ টাকা দিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পাশাপাশি অনুমতি চেয়ে প্রত্যেক মাসে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে হাজার টাকা। পুনর্নবীকরণের তারিখ পাঁচদিন দেরি হলে পেনাল্টি গুনতে হবে ৫০০ টাকা। পূর্ব রেলে হকারির স্বত্ব যে সংস্থার হাতে গেছে, তারা টেন্ডার বাবদ কয়েক কোটি টাকা ইতিমধ্যেই রেলকে তুলে দিয়েছে।

সূত্রের খবর, হকারদের নিজেদেরই ডাক্তারি পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন করিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর আই কার্ড ও পোশাক দেওয়া হবে। আই কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করে হকারের পরিচয় যাচাই করা যাবে।

এসবের বাইরেও থাকছে আরও শর্ত?‌ এখন থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে হকারদেরও। যে কোনও খাবার বা সামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন না হকাররা। বিক্রি করতে হবে প্যাকেটজাত দ্রব্যই। সেই প্যাকেটের গায়ে সর্বোচ্চ মূল্য ও মেয়াদ ফুরোনোর তারিখ লেখা থাকবে। ফলে মনে করা হচ্ছে ঠোঙায় ঝালমুড়ি, পাঁপড়, ঘুগনি, আলুকাবলি, ছোলা মাখা বিক্রি বন্ধ হতে চলেছে।

ইতিমধ্যেই তীব্র আপত্তি জানিয়েছে হকার ইউনিয়নগুলি। আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?‌ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‌পুরো বিষয়টি পরিকল্পনা স্তরেই রয়েছে। পরবর্তী কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’‌

হকারির জন্য মাসে মাসে দিতে হবে টাকা, রেলের হকারদের দায়িত্ব এবার বেসরকারি সংস্থার হাতে!
রেলের প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী কেন্দ্র

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in