প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিজ্ঞাপনে ছবি - নিজের কোনো বাড়ি নেই দাবি মহিলার

কিছু সংবাদপত্রের গত ১৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিলো। 'আত্মনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর বংগাল' শীর্ষক ওই বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে ছাপা হয় এক মহিলার ছবি।
খবরের কাগজে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন
খবরের কাগজে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনছবি সৌজন্য নিউজ লন্ড্রী
Published on

কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রভাত খবর, সন্মার্গ প্রভৃতি সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় গত ১৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিলো। 'আত্মনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর বংগাল' শীর্ষক ওই বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে ছাপা হয়েছিলো এক মহিলার ছবি। ওই বিজ্ঞাপনে যা লেখা ছিলো তার বাংলা করলে দাঁড়ায় – প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আমি নিজের ঘর পেয়েছি, মাথার ওপর ছাদ পেয়ে প্রায় ২৪ লক্ষ পরিবার আত্মনির্ভর হয়েছে, সঙ্গে আসুন এবং একসাথে মিলে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে সত্যি করি।

এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলো। কিন্তু গোল বেঁধেছে বিজ্ঞাপনে ছাপা ছবির মহিলাকে কেন্দ্র করে। জানা গেছে ওই মহিলার নাম লক্ষ্মীদেবী। ৪৮ বছরের ওই মহিলা বিজ্ঞাপনে তাঁর ছবি ছাপার কথা জানতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি এখনও মনে করতে পারেননি কে কবে তাঁর ওই ছবি তুলেছে। খবরের কাগজ তাঁর ছবি ছেপেছে ভেবে ইতিমধ্যে লক্ষ্মী দেবী সেই কাগজের দপ্তরেও গেছিলেন বলে জানা গেছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন
সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনছবি সৌজন্য নিউজ লন্ড্রী

এই বিষয়ে নিউজ লন্ড্রীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে যে বিজ্ঞাপনে যে মহিলার ছবি ছাপা হয়েছে সেই লক্ষ্মী দেবী তাঁর পরিবারের ৫ সদস্য সহ ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে এক ঝুপড়িতে থাকেন। তাঁর নিজের কোনো ঘর নেই। বিহারের ছাপরা জেলার বাসিন্দা লক্ষ্মী দেবী ছোটোবেলাতেই কলকাতা চলে আসেন পরিবারের সঙ্গে। তাঁর স্বামী চন্দ্রদেব প্রসাদ মারা গেছেন ২০০৯ সালে।

নিউজ লন্ড্রীর সাংবাদিক লক্ষ্মী দেবীকে তাঁর নিজের কোনো ঘর আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান তাঁর নিজের কোনো ঘর নেই। আগে তিনি ফুটপাতেই থাকতেন। এখন ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঝুপড়িতে থাকেন।

খবরের কাগজে তাঁর ছবি ছাপার প্রসঙ্গে সাংবাদিককে লক্ষ্মী দেবী জানিয়েছেন – কবে আমার ছবি নেওয়া হয়েছে মনে নেই। তবে তিনি গঙ্গাসাগর মেলার সময় ১০ দিন বাবুঘাটে সাফাইওলার কাজ করেছিলাম। আমার মনে হয় সেই সময় কেউ এই ছবি তুলেছিলো। কিন্তু আমি কিছু জানিনা কখন এই ছবি তোলা হয়েছে। তিনি সাংবাদিককে আরও জানিয়েছেন, আমি খবরের কাগজের অফিসেও গেছিলাম। ওরা আমাকে বলেছে যে এই ছবি সরকার ছাপিয়েছে। কে ছবি তুলেছে তা সরকারকে জিজ্ঞেস করো।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in