করোনা আবহেই দেশ থেকে অক্সিজেন রপ্তানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ হারে

করোনা চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিভিন্ন হাসপাতালে। কিন্তু গত ১ বছরে ভারত বিভিন্ন দেশে বড়ো মাত্রায় অক্সিজেন রপ্তানি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য থেকে একথা জানা গেছে।
করোনা আবহেই দেশ থেকে অক্সিজেন রপ্তানি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ হারে
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

দেশে অক্সিজেনের ঘাটতি। করোনা সংক্রমিতের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না বিভিন্ন হাসপাতালে। কিন্তু গত এক বছরে ভারত বিভিন্ন দেশে বড়ো মাত্রায় অক্সিজেন রপ্তানি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য থেকে একথা জানা গেছে। পরিসংখ্যান অনুসারে এপ্রিল ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১-এর মধ্যে ভারত বিভিন্ন দেশে ৯,৩০১ মেট্রিক টন অক্সিজেন রপ্তানি করেছে। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে এই পরিমাণ ছিলো ৪,৫০২ মেট্রিক টন।

জানুয়ারি ২০২০ তে ভারত অক্সিজেন রপ্তানি করেছিলো ৩৫২ মেট্রিক টন। যেখানে ২০২১-এর জানুয়ারিতে অক্সিজেন রপ্তানি বেড়েছে ৭৩৪ শতাংশ। একইভাবে ডিসেম্বর ২০২০তে ভারত অক্সিজেন রপ্তানি করেছে ২,১৯৩ মেট্রিক টন। যেখানে ডিসেম্বর ২০১৯-এ ভারত রপ্তানি করেছিলো ৫৩৮ মেট্রিক টন।

অক্সিজেন রপ্তানি সংক্রান্ত এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই সরকারের পরিকল্পনা পদ্ধতি নিয়ে সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল।

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে দেশে প্রতিদিন ৭,১২৭ মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদন হয় এবং ৩,৮৪২ মেট্রিক টন অক্সিজেন খরচ হয়। গত ১২ এপ্রিলের তথ্য অনুসারে এই মুহূর্তে দেশে ৫০ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন (শিল্প এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহারের উপযোগী) সঞ্চিত আছে। যদিও দেশের একাধিক রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন অমিল বলে অভিযোগ।

দেশে সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমিত মহারাষ্ট্রে। মোট করোনা রোগীর ৬০ শতাংশই মহারাষ্ট্রে। যদিও সেখানে অক্সিজেনের তীব্র ঘাটতির কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। একই অবস্থা দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যে। গতকালই বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন শূন্য হয়ে যাবার কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো।

গত ১৮ এপ্রিল দেশে অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। ওইদিন চাহিদা ছিলো ৪,৩০০ মেট্রিক টনের। কোভিড পরিস্থিতির আগে এই চাহিদা ছিলো দৈনিক ৮৫০ মেট্রিক টন। এর পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন সরবরাহে রাশ টানা হয়। ২২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকরী থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতীয় রেল লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ শুরু করেছে। এরজন্য গ্রীন করিডর তৈরি করে বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in