গত সাত বছরে সম্ভবত এই প্রথমবার টোল পড়েছে ৫৬ ইঞ্চিতে। কোভিড মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে না পেরে কার্যত বিধস্ত রূপ নিয়েছে মোদির ব্র্যান্ড ইমেজ। নোটবাতিল, জিএসটি, সিএএ-এনআরসি বিতর্ক, কৃষি আন্দোলন, অতিমারির প্রথম দফাও সুনিপুণ ভাবে সামলেছিল ব্র্যান্ড মোদি। বিতর্ক তৈরি হলেও সুবিধাজনক রাজনৈতিক যুক্তি সাজাতে পেরেছিলেন। দেশের মধ্যবিত্তের একটা বড় অংশ মোদির পাশেই থেকেছে।
কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারার ব্যর্থতা ঢাকার মতো কোনও যুক্তিই এখন বিজেপির হাতে নেই। আর এই একটা ইস্যু টলিয়ে দিয়েছে বিজেপির ভিতকে। এমনটাই মনে পড়ছে দেশের রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিকদের মতে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ না করে বিরোধীদের উপর এবং অ- বিজেপি রাজ্যগুলি ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।
প্রতিদিন আত্মীয় স্বজন বা পরিচিতের কোভিডে আক্রান্ত হওয়া, তাঁদের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির খবর শুধু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তা নয়। সুস্থ মানুষের চিন্তা বাড়াচ্ছে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেডের অভাব। কোনও রকম আর্থিক ক্ষমতা বা তথাকথিত ‘নেটওয়ার্ক’ কাজে লাগিয়েও হাসপাতালের সামান্য বেড বা অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রিয়জনের সৎকারও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। এই হাহাকারের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারের সিদ্ধান্ত মোদির দৈন্য দশাকেই প্রকাশ্যে এনেছে।
দেশসেবক মোদিতেই যে আস্থাও রেখেছেন মানুষ, তা উনিশের লোকসভা ভোটে প্রমাণিত। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতা মানতে পারছেন না কেউই। দেশের মৌলিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বেহাল অবস্থা প্রকট হয়ে ওঠায় শুধু দেশে নয়, বহির্বিশ্বেই মুখ পুড়েছে মোদির।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।