

বাংলায় ১৯৪৩ সালের মন্বন্তরের পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এখন। আর এই মহামারির জন্য পুরো দায়ী নরেন্দ্র মোদি সরকার। কোভিড পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ কেন্দ্র। না আছে অক্সিজেন না হাসপাতালে বেড। দেশের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার। বৃহস্পতিবার ঠিক এমনভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছে বাম দলগুলো।
কোভিডের সঙ্গে লড়তে সরকার যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেছে তা খুবই নির্মম। দুই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানিকে 'লভ্যাংশ' আদায়ের জন্য সবরকমভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার একদিনেই রেকর্ড ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ জনের।
দলীয় মুখপত্র পিপলস ডেমোক্রেসির সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৪৩ সালে বাংলায় অনাহারে, অপুষ্টি ও রোগে ভুগে যে প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তারথেকেও ভয়ানক এই মহামারি। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩২ জনের।
দেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে, তা খুঁজতে কোনও ঐতিহাসিক গবেষণার দরকার হবে না। কারণ, সকলেই বুঝতে পারছে, এর পিছনে রয়েছে শুধুই নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার। সম্পাদকীয়তে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভারে মানুষ রোজ প্রাণ হারাচ্ছেন, হাসপাতালে বেডের, ওষুধের অভাব, ভ্যাকসিনের অভাব, সরকারের দাক্ষিণ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো লাভ করছে। এই ধরনের কেলেঙ্কারির অভিযোগ আজ দেশজুড়ে। কিন্তু সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি হল, মোদি সরকার নিজেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন