Madhya Pradesh: MBBS সিলেবাসে সঙ্ঘ সেবকদের জীবনী, সমালোচনায় সরব বিরোধী থেকে শিক্ষক মহল

এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পাঠ্যক্রমে কাদের জীবনী রাখা হবে, তার একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সরং। তালিকায় রয়েছেন সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেগড়ে থেকে শুরু করে দীনদয়াল উপাধ্যায়।
Madhya Pradesh: MBBS সিলেবাসে সঙ্ঘ সেবকদের জীবনী, সমালোচনায় সরব বিরোধী থেকে শিক্ষক মহল
ফাইল ছবি
Published on

মধ্যপ্রদেশে এমবিবিএস-এর সিলেবাসেও গেরুয়াকরণ! হবু ডাক্তারদের এবার থেকে পড়তে হবে সংঘ সেবকদের জীবন কাহিনী। সে রাজ‍্যের বিজেপি সরকার এমবিবিএস সিলেবাসে মহর্ষি চরক এবং সুশ্রুতের পাশাপাশি সঙ্ঘ সেবকদের জীবনী রাখবে বলে ঠিক করেছে।

এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পাঠ্যক্রমে কাদের জীবনী রাখা হবে, তার একটি রূপরেখা তৈরি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সরং। তালিকায় রয়েছেন কেশব বলিরাম হেগড়ে থেকে শুরু করে দীনদয়াল উপাধ্যায়। তবে বিরোধীদের আক্রমণ এড়াতে স্বামী বিবেকানন্দ ও বিআর আম্বেদকরের নামও এই তালিকায় রয়েছে।

তবে এতো কিছু করেও বিরোধীদের আক্রমণ এড়াতে পারেনি শিবরাজ সিং চৌহানের সরকার। বিষয়টিকে হিন্দুত্বের ‘অ্যানাটমি’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। মরদেহ কাটাছেঁড়ার সিলেবাসে হিন্দুত্বের অ‍্যানাটমি পড়িয়ে লাভ কী বলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী।

সরকারের কার্যকলাপে তাজ্জব শিক্ষক মহলও। তাঁদের বক্তব্য, ‘এমন গোদা গোদা চিন্তাভাবনা নিয়ে আর যাই হোক, চিকিৎসা শাস্ত্রকে পুষ্ট করা যায় না। এই সহজ সত্যটা কে কাকে বোঝাবে!’ যদিও শিক্ষামন্ত্রীর সাফাই—‘চিকিৎসা শাস্ত্রে নীতি-শাস্ত্র অবশ্যই পাঠ্য।'

এমবিবিএসের প্রথম বর্ষকে মূলত ‘ভিত্তিবর্ষ’ ধরা হয়। এই এক বছরে পড়ুয়ারা মরদহ নিয়ে কাটাছেঁড়া করেন অ্যানাটমির পঠন-পাঠনের জন্য। তবে প্রথম বর্ষের পাঠক্রমে মানবসেবায় নীতি-শাস্ত্রের পাঠও থাকে, যাকে কাজে লাগিয়ে সঙ্ঘ সেবকদের জীবনি ঢোকাতে চাইছে সরকার।

কিন্ত এভাবে কোনও রাজ্য চাইলে কি এমবিবিএসের সিলেবাস বদলাতে পারে? ‘দ্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল (এনএমসি)’-এর একটি সূত্র বলছে তা করা যায়। এমবিবিএস কোর্সে কী কী পড়ানো হবে, তা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস তৈরি করে এনএমসি। কিন্তু ভিত্তিবর্ষের সিলেবাসে মূল বিষয়বস্তু ঠিক করার এক্তিয়ার রয়েছে রাজ্যগুলির।

মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী সরংও বলেছেন, ‘এমবিবিএসের ভিত্তিবর্ষের পাঠক্রমে কী থাকবে, না থাকবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। সেই মতো প্রাতঃস্মরণীয়দের জীবনীকে আমরা অন্তর্ভুক্ত করেছি।’

সমালোচনা উড়িয়ে সরংয়ের বক্তব্য, ‘এঁরা সকলেই দিগ্‌দর্শী মানুষ ছিলেন। এঁদের জীবনবোধের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। যা ডাক্তারি শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগাবে, মূল্যবোধ শেখাবে। সামনের শিক্ষাবর্ষ (২০২১) থেকেই পাঠক্রমে হেগড়দের জীবনী পড়ানো হবে।'

উল্লেখ্য, ১৯২৫ সালে নাগপুরে আরএসএসের প্রতিষ্ঠা করেছিলে হেগড়ে। উপাধ‍্যায়ও এই সঙ্ঘের নেতা ছিলেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in