বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে পেশ বিধান পরিষদের বিল! তুঙ্গে জল্পনা

আগামী ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সূত্রের খবর, সেই অধিবেশনেই আসতে পারে বিধান পরিষদ বিল।যদিও তৃণমূল পরিষদীয় দল বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়ে আগাম মুখ খুলতে নারাজ।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাফাইল ছবি সংগৃহীত

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা সত্যি হলে রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই পেশ হতে চলেছে বিধান পরিষদের বিল। বাংলায় আবারও চালু হতে চলেছে অধুনা লুপ্ত বিধান পরিষদ! তৃণমূলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মত বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই পেশ হতে চলেছে বিধান পরিষদের বিল।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রিসভায় যাদের স্থান হলো না তাদের অনেককেই বিধান পরিষদে স্থান দেওয়া হবে। আগামী ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সূত্রের খবর, সেই অধিবেশনেই আসতে পারে বিধান পরিষদ বিল।যদিও তৃণমূল পরিষদীয় দল বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়ে আগাম মুখ খুলতে নারাজ।

প্রসঙ্গত, বাংলায় এক সময় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিলো। ১৯৬৯ সালে বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলে আইন করে তার অবলুপ্তি ঘটে। এই বিষয়ে ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাস হয়। ১৯৬৯ সালের পয়লা অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ অবলুপ্ত হয়।

যদিও রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠনের পর গত ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। তবে যেহেতু বিধান পরিষদ গঠনের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে, তাই নিজের মনের মত কেউ বিধান পরিষদ গঠন করতে পারে না।

ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নং ধারায় বিধান পরিষদ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আছে। ওই ধারা অনুসারে বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০-এর কমও থাকবে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেবল রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল পাশ করলেই হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভার দু'টি কক্ষেই এই বিলকে অনুমোদন পেতে হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে তবেই তা রাজ্যে কার্যকর হবে। তাই এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে ভারতের ৬টি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব আছে। কেন্দ্রীয় আইনসভার যেমন দু'টি কক্ষ, উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ বা লোকসভা, তেমনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ। রাজ্যসভার মতোই বিধান পরিষদেরও কার্যকাল ৬ বছর। প্রতি ২ বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের অবসর নেওয়া আইনসিদ্ধ। সংসদের উচ্চকক্ষের মতোই অর্থ বিল ছাড়া যে কোনও বিল বিধান পরিষদে আনা যায়। বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া যায়।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in