

২০২০ সালে ভারতে আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বেকারত্ব। বুধবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় এমনই তথ্য জানানো হয়। ২০২১ সালের অক্টোবরে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তা উদ্ধৃত করে সরকার জানিয়েছে, মহামারীর জেরে দেশে লকডাউন জারি হওয়ায় শুধু প্রয়োজনীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সব কিছুই কয়েক মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্কটের মধ্যে পড়ে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এই বেকারত্বের জেরে বেড়েছে আত্মহত্যার ঘটনাও। পাশাপাশি দেউলিয়া বা ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণেও বেড়েছে আত্মহত্যার হার।
রাজ্যসভার সদস্য বিষম্বর প্রসাদ নিষাদ, সুখরাম সিং যাদব ও ছায়া ভার্মা দেশে মোট আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান সরকারের কাছে। তার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, বেকারত্ব ও দেউলিয়া বা ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণেই গত তিন বছরে (২০১৮, ২০১৯, ২০২০ সালের পূর্ণাঙ্গ তথ্য অনুযায়ী) ২৫,২৩১ জন আত্মহত্যা করেছেন। এই সমস্যা মেটাতে সরকার পদক্ষেপ করছে। তিনি সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। এসব মানসিক ভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের সাহায্যার্থে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
২১ অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহামারীর প্রথম বছরে পথ দুর্ঘটনা ও এর সাথে সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে বটে। কিন্তু বেড়ে গিয়েছে আত্মহত্যার সংখ্যা। যারা আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই হলেন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। এনসিআরবির রিপোর্টে বলছে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ১০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দুই বছরে কোভিড আবহে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, কর্মহীন হয়েছেন। বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেও কোনও কাজ পাননি। একের পর এক কর্মসংস্থানের জায়গা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প লোকসানের পথে হেঁটে ঝাঁপ ফেলেছে। সেগুলো কোনওদিন আর খুলবে কিনা, কেউ জানে না। কাজ হারিয়ে পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেবেন কীভাবে, এই ভেবেই বহু মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন