

গত বেশ কয়েক বছর ধরে তাপমাত্রা যেমন বেড়েছে, তেমনই বৃদ্ধি পেয়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা-সহ বিভিন্ন মেট্রো সিটি। গ্রামাঞ্চল তো বটেই। অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে, এরকম আশঙ্কা অনেকদিন ধরেই করছিলেন পরিবেশকর্মী ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। দ্রুতগতিতে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।
এভাবে চললে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, গোয়া ও উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে যাবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে আইপিসিসির (ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে।
রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা আগামী ২০ বছরের মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তারও বেশি বেড়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়বে প্রাকৃতিক ভারসাম্যে। কিছুটা প্রভাব অবশ্য এখনও অনুভব করা যায়। পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় হিমবাহ, বরফের স্তর গলছে। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। ঝড়, বন্যা, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাবে।
সিভিআই বা ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স জানিয়েছে, দেশের ৮০ শতাংশ নাগরিকই ঘূর্ণিঝড়, ভারী বৃষ্টিপাত, বজ্রপাত, বন্যা ও খরার আওতায় রয়েছে। ৩৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ২৭টির অবস্থাই বিপজ্জনক। দেশের কোন এলাকা কী রকম অবস্থা দিয়ে যাবে, তাও বলা হয়েছে।
পশ্চিম ও মধ্য ভারত খরা, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারত বন্যা, দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারত সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও খরার জন্য বিপজ্জনক সীমারেখার মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আগামী দশ বছরের জন্য ‘উন্নত’ দেশগুলির কাছে এক ট্রিলিয়ন (এক লক্ষ কোটি) ডলার আর্থিক সাহায্য চেয়েছে ভারত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন