কেরালা: মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ২ লক্ষ টাকা দান বিড়ি শ্রমিকের - পিনারাই থেকে রাজ্যবাসী - অভিভূত সবাই

পেশায় কান্নুরের বিড়ি শ্রমিক তিনি। কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তিনি দিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা অনুদান! তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখন আছে মাত্র ৮৫০ টাকা। যদিও তাঁর বাকি পরিচয় এখনও প্রকাশ করা যায়নি।
পিনারাই বিজয়ন
পিনারাই বিজয়নফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

কথায় বলে, অনেক খারাপের মধ্যেও ভালো কিছু অবশ্যই আছে। হয়ত সত্যি তাই। গোটা দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল। অক্সিজেনের অভাব, ভ্যাকসিনের দামের রকমফের এবং কোভিড মহামারীতে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে মূল্য ধার্য হওয়া, রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক দোষারোপের গল্প, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসবই দেখা যায়।

কিন্তু এর মধ্যেও আছে অন্যরকম মানুষের কথা। পেশায় কান্নুরের বিড়ি শ্রমিক তিনি। কেরলে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তিনি দিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা অনুদান! তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এখন আছে মাত্র ৮৫০ টাকা। যদিও তাঁর বাকি পরিচয় এখনও প্রকাশ করা যায়নি। কেরল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন টুইট করে এই ব্যক্তির প্রশংসা করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই তহবিলে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা গল্পই শোনা যায়। তার মধ্যে একজন এই প্রবীণ ব্যক্তি, যিনি তাঁর সঞ্চিত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। তাঁর কাছে ছিলই ২০০৮৫০ টাকা। মানুষের প্রতি ভালোবাসাই আমাদের আলাদা করে দেয়। আবারও, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই!

জানা গিয়েছে, ব্যাংক কর্মীরাও ওই ব্যক্তির অনুদানের টাকার অঙ্ক শুনে অবাক হয়ে যান। ব্যাংক কর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। তাঁরা প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে ওই ব্যক্তি জোর করেন যে, ওই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলেই যাওয়া উচিত। তাহলে তাঁর কীভাবে চলবে? ব্যাংককর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিড়ি বেঁধেই তিনি বাকি জীবনটা কাটিয়ে নিতে পারবেন। তাছাড়া তিনি প্রতিবন্ধী পেনশন হিসাবে যে টাকা পান, তা দিয়েই তাঁর দিব্য চলে যাবে।

কেরলের অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাকও রবিবার একটি টুইট করে বিড়ি শ্রমিকের গল্প লিখেছেন, কান্নুরের এক বিড়ি শ্রমিক মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নিজের অ্যাকাউন্টে ৮৫০ টাকা রেখে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in