
প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই থেকে বিতর্কিত ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে চায় কর্ণাটক সরকর। ষষ্ঠ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান প্রথম ভাগের পাঠ্য বিষয়ে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থানের জন্য বৈদিক ধর্মকে দায়ী করা হয়েছে, এই নিয়ে অভিযোগ ওঠার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিতর্কিত বিষয়গুলি চিহ্নিত করতে উচ্চস্তরীয় কমিটিও গড়া হবে।
বিতর্ক শুরু হয় নতুন ধর্ম বিশেষ করে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মের উত্থান নিয়ে লেখায়। পাঠ্যপুস্তকটিতে লেখা হয়েছে ১৫০০ খ্রি পূ থেকে ৬০০ খ্রি পূ বৈদিক কালে হোম আর হবনে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য, দুধ, ঘি দেওয়ার ফলে খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়। পশুবলি নিয়েও লেখা হয়েছে অধ্যায়তে। পাঠ্যপুস্তকে বলা হয়েছে এইসব আচারবিচার ছিল শুধু সমাধান খোঁজার জন্য। সাধারণ মানুষ সংস্কৃত মন্ত্র বুঝতে পারত না। বরং বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম সহজ সরল হওয়ায় দ্রুত প্রসার লাভ করেছিল।
এই লেখা নিয়ে কর্ণাটক স্টেট ব্রাহ্মিন বোর্ড গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করে তাদের আপত্তি জানিয়েছিল। তারপরে ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সারকুলার জারি করে সরকার জানিয়ে দেয় ওই অধ্যায়টি পড়ানো যাবে না এবং মূল্যায়নও করা যাবে না।
সমস্ত বিতর্কিত ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে কন্নড় ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সদস্য রোহিত চক্রতীর্থকে চেয়ারম্যান করে কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নিয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যে অবশ্য বিতর্কিত অধ্যায়টিকে আগামী শিক্ষা বর্ষে না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। কমিটিতে আরও ষোল জন সদস্য থাকবেন যার মধ্যে আছেন RSS অনুগত রাষ্ট্রোত্থান পরিষদের প্রতিনিধি, মিথিক সোসাইটি, ফোকলোর স্টাডিজ এবং অন্য নামী প্রতিষ্ঠানের গবেষক। রাজ্যের নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধিরাও থাকবেন কমিটিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন