Karauli Violence: উন্মত্ত জনতার হাত থেকে একাই ১৫ জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন মধুলিকা সিং

দুই সন্তানের মা এই মহিলা একাই অন্তত ১৫ জন পুরুষকে বাঁচিয়েছেন। যারা বেশিরভাগই অন্য সম্প্রদায়ের। রাজস্থানের করৌলিতে হিংসার ঘটনার সময় এঁদের বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেন মধুলিকা সিং।
রাজস্থানের করৌলিতে হিংসা
রাজস্থানের করৌলিতে হিংসাফাইল ছবি, সৌজন্যে নিউজক্লিক

এই ঘটনা রাজস্থানের মধুলিকা সিংকে ঘিরে। দুই সন্তানের মা এই মহিলা একাই অন্তত ১৫ জন পুরুষকে বাঁচিয়েছেন। যারা বেশিরভাগই অন্য সম্প্রদায়ের। এই মাসের শুরুর দিকে রাজস্থানের করৌলিতে হিংসার ঘটনার সময় এঁদের বিক্ষুব্ধ জনতার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করেন মধুলিকা সিং। গত ২ এপ্রিল মধুলিকা হিংসার ঘটনার সময় তাঁর দোকানের সামনে আক্রমণে উদ্যত জনতার সামনে একাই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

৪৮ বছর বয়সী মধুলিকার স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি গত পাঁচ বছর ধরে গার্মেন্টস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ২ এপ্রিল হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা চলাকালীন ওই এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশের মতে, মিছিল চলাকালীন, একটি লাউডস্পিকারে "সংবেদনশীল" স্লোগান বাজানো হয়েছিল এবং শীঘ্রই সেখানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয়ে যায় পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি।

মধুলিকা জানিয়েছেন: "মানুষ ভয়ে দৌড়াচ্ছিল... এবং তাঁরা দোকানের শাটার নামিয়ে দেয়... তাঁরা বলেছিল দাঙ্গা শুরু হয়েছে। আমি দ্রুত শপিং কমপ্লেক্সের গেটে তালা দিয়ে দিই এবং তাদের (যারা সেখানে আশ্রয় নিতে এসেছিল) চিন্তা না করতে বলি। আমি তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছি কারণ আমি মনে করি মানবতাই সবথেকে পবিত্র।

মধুলিকা আরও জানান, প্রায় ১৫ জন পুরুষ তাঁকে বলেন যে তাঁরা ভীত এবং সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না যে তাঁরা থাকবেন অথবা চলে যাবেন।

মধুলিকা সিং বলেন, দোকানের শাটার ভেঙে জনতা ঢোকার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তখন তিনি তাদের বাধা দেন। ওই শপিং কমপ্লেক্সে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে মোহাম্মদ তালিব ও দানিশ ছিলেন। তালিব বলেন, "মধুলিকা দিদি আমাদের বাঁচিয়েছেন। তিনি আমাদের উদ্বিগ্ন না হতে বলেছিলেন।"

মিথিলেশ সোনি, যিনি একই শপিং কমপ্লেক্সে একটি সেলুন চালান, তিনি জানিয়েছেন, আরও তিনজন মহিলা এবং তিনি জলের বালতি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in