Joblessness: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে কাজ হারিয়েছেন ১ কোটি মানুষ - সমীক্ষা CMIE-র

সিএমআইই-র করা সমীক্ষা অনুসারে গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে বেকারত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে দেশে বেকারত্বের হার ছিলো ৮ শতাংশ। যা মে মাসের শেষে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি সৌজন্য - নিউজক্লিক
Published on

দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন এবং গত বছরের মহামারীর শুরুর সময়ের তুলনায় প্রায় ৯৭ শতাংশ বাড়িতে রোজগার কমেছে। সোমবার একথা জানিয়েছেন সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (CMIE) প্রধান মহেশ ব্যাস।

সিএমআইই-র করা সমীক্ষা অনুসারে গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে বেকারত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এপ্রিল মাসের শেষে দেশে বেকারত্বের হার ছিলো ৮ শতাংশ। যা মে মাসের শেষে এসে দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে। গ্রামাঞ্চলে এই হার ১০.৬৩ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে এই হার ১৪.৭৩ শতাংশ। যে হিসেব অনুসারে এই সময়ে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ।

সিএইআইই-র মতে, এই সময়ে যারা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের পক্ষে ফের কাজ খুঁজে পাওয়া যথেষ্টই সমস্যার। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ দ্রুত ফিরে এলেও সংগঠিত ক্ষেত্রে এই সমস্যা মিটতে অনেকটাই বেশি সময় লাগবে। সবকিছু স্বাভাবিক হলে এই সমস্যা কিছুটা মিটলেও সবটা মেটা সম্ভব নয়।

তিনি আরও জানান, ভারতীয় অর্থনীতিতে ৩ থেকে ৪ শতাংশ বেকারত্বের হার স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ ২৩.৫ শতাংশে পৌঁছেছিলো। যার মূল কারণ ছিলো লকডাউন।

সাম্প্রতিক সময়ে সিএমআইই দেশের ১.৭৫ লক্ষ বাড়িতে এক সমীক্ষা চালিয়েছে। যে সমীক্ষায় মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন গত ১ বছরে তাঁদের রোজগার বেড়েছে। যেখানে ৫৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের রোজগার কমে গেছে। প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁদের রোজগার গত ১ বছর আগে যেখানে ছিলো সেই একই স্তরে আছে। যে সূত্র ধরে মহেশ ব্যাস বলেন – মুদ্রাস্ফীতির হিসেবে এই সমীক্ষা থেকে বলা যায় দেশের ৯৭ শতাংশ বাড়িতে গত এক বছরে রোজগার কমেছে।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in