ইশরাত জাহান মামলা কার্যত নিষ্পত্তির পর্যায়ে - বাকি ৩ পুলিশ অফিসারকেও মুক্তি দিল সিবিআই আদালত

ইশরাত জাহান
ইশরাত জাহান ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

ইশরত জাহান ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় ৩ পুলিশ আধিকারিককে বুধবার মুক্তি দিয়েছে স্পেশ্যাল সিবিআই কোর্ট। ২০০৪ সালের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন আইপিএস জিএল সিঙ্ঘল, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তরুণ বারোট ও অঞ্জু চৌধুরি। তাঁরা গত ২০ মার্চ আদালতে মুক্তির আবেদন করেছিলেন। সেই মামলায় বুধবার ৩ জনকেই মুক্তি দিল স্পেশাল সিবিআই কোর্ট। ২০ মার্চ আবেদন করার সময় ৩ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, যেহেতু সরকার এই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নিয়ে এগোচ্ছে না। তাই আগে যেভাবে বাকি ৩ পুলিশ আধিকারিক মুক্তি পেয়েছিলেন, সেভাবেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হোক।

৩ পুলিশ আধিকারিককে মুক্তি দেওয়ার পর কার্যত এই মামলার নিস্পত্তি হয়ে গেল, যদি না ফের সিবিআই আদালতের কাছে কোনওরূপ আবেদন করে। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাকি পুলিশ আধিকারিকরা যখন মুক্তি পেয়েছিলেন, তখন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেনি সিবিআই। বুধবার রায় ঘোষণার সময় সিবিআই বিচারপতি ভিআর রাভাল জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখান থেকে বলা যায় যে ৪ জন গুজরাত পুলিশের হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন তারা সন্ত্রাসবাদী নয়। এই মামলার রায় ঘোষণার সময় বিচারক জানিয়েছেন, সিবিআই যে তথ্য পেশ করেছে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যাচাই করে পাঠিয়েছে বলেই ধরে নিয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কোনও শুনানি ছাড়াই এই রায় হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

২০০৪ সালে জুন মাসে পুলিশ আধিকারিক ডিজি বানজারার নেতৃত্বে আমদাবাদে ডিটেকশন অব ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইশরাত জাহান ও আরও ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। গুজরাত পুলিশ পাল্টা দাবি করেছিল, ইশরাত ও বাকি ৩ জন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খুন করতে এসেছিল। এই ঘটনায় সিবিআই চার্জশিট ফাইল করে গুজরাতের ৭ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সেখানে বানজারা, এনকে আমিন ছাড়াও নাম ছিল পিপি পান্ডে, জিএল সিঙ্ঘল, তরুণ বারোট, অনুজ চৌধরি ও জেজি পারমার। তাঁদের বিরুদ্ধে অপহরণ, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। এর মধ্যে আগেই বানজারা, পিপি পান্ডে ও আমিনকে মুক্তি দিয়েছিল সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল কোর্ট। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রাণ হারিয়েছেন জেজি পারমার।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in