
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া শেয়ার বাজারে পতন চলতি বছরেও অব্যাহত রয়েছে। যার জেরে ভারতের শীর্ষ সাত ধনকুবের বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুসারে, এই ধনকুবেরদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। শেয়ার বাজারের লাগাতার পতনের কারণে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি কমেছে বিলিয়নেয়ারদের।
এই তালিকায় আছেন মুকেশ আম্বানি, গৌতম আদানি, শিব নাদের, আজিম প্রেমজি, শাপুর মিস্ত্রি সহ অন্যান্যরা। এঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে গৌতম আদানির। কেবল এই বছরই তাঁর সম্পদ ১০.১ বিলিয়ন ডলার কমেছে। ফলে তাঁর মোট সম্পদ এখন ৬৮.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তাঁর কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজেস এই বছর ১২% কমেছে। আদানি গ্রুপের অন্যান্য শেয়ার, যেমন আদানি গ্রিন এনার্জি কমেছে ২২%। আদানি টোটাল গ্যাস ২১.২৬% কমেছে। আদানি এনার্জি সলিউশনস এবং আদানি পোর্টস যথাক্রমে ৬% এবং ৩% কমেছে।
ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি চলতি বছর হারিয়েছেন ৩.১৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও এখনও তিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৭.৫ বিলিয়ন ডলার। এবছর জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের শেয়ার কমেছে ২৮.৭%। তবে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ সেয়ার এ বছর বেড়েছে ২.৫৪%।
এইচসিএল টেকনোলজিসের চেয়ারম্যান শিব নাদারের সম্পদের পরিমাণ কমেছে ৭.১৩ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
উইপ্রো-র আজিম প্রেমজির সম্পদের পরিমাণ এ বছর ২.৭০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২৮.২ বিলিয়ন ডলার।
ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্সট্রাকশন জায়ান্ট শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের মালিক শাপুর মিস্ত্রির সম্পদ কমেছে ৪.৫২ বিলিয়ন ডলার। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩৪.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সম্পদের পরিমাণ কমেছে ওপি জিন্দাল গ্রুপের চেয়ারপার্সন সাবিত্রী জিন্দালেরও। চলতি বছর তাঁর সম্পত্তি কমেছে ২.২২ বিলিয়ন ডলার। ফলে এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৩০.১ বিলিয়ন ডলার।
সান ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের দিলীপ সাংঘভির সম্পদের পরিমাণ ৪.২১ বিলিয়ন ডলার কমেছে। এখন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫.৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
মন্দার ছোঁয়া ভারত ছাড়িয়ে আমেরিকাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ধনকুবেররা মোট ২০৯ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এই তালিকায় আছেন, এলন মাস্ক, জেফ বেজোস, সেরগেই ব্রিন, মার্ক জুকেরবার্গ, বার্নার্ড আরনল্ট প্রমুখ। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্কের ১২৬ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই বছর টেসলার শেয়ার পড়েছে ৩৯%। অ্যামাজনের জেফ বেজোস হারিয়েছেন ২১.২ বিলিয়ন ডলার। মার্ক জুকারবার্গের ৬.৬১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি কমেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন