শেষ ১০ বছরে ভারতে উদার গণতন্ত্র সূচকে হ্রাস ০.২৩ শতাংশ - 'ধিক্কার' জানিয়ে ট্যুইট ইয়েচুরির
“ভারত এখন ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’-এর অন্তর্ভুক্ত” … “ধিক্কার”। এক সুইডিশ সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট তুলে ধরে বৃহস্পতিবার এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের আক্রমণের পথে গেলেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। নিজের করা ওই ট্যুইটে ইয়েচুরি আরও দুই বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন।
যার একটিতে বলা আছে – ‘ভারতে মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, মানহানি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইন ব্যবহার করছে’।
অন্য এক উদ্ধৃতিতে বলা আছে – ‘ভারতের উদার গণতন্ত্রের স্তর ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ স্তরে থাকার পর সেখান থেকে ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে’।
উল্লেখ্য, এদিন তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে যে তালিকা ইয়েচুরি উদ্ধৃত করেছেন সেই তালিকায় ১০টি দেশের নাম আছে। যার মধ্যে আছে যথাক্রমে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরী, তুরস্ক, ব্রাজিল, সার্বিয়া, বেনিন, ভারত, মরিশাস, বলিভিয়া এবং থাইল্যান্ডের নাম। যে তালিকা অনুসারে গত ২০১০ সালে ভারতের লিবারাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স বা এলডিআই মান ছিলো ০.৫৭ এবং ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৪। অর্থাৎ এই স্তরের অবনতি হয়েছে -০.২৩ শতাংশ।
সম্প্রতি সুইডেনের ভি ডেম ইন্সটিটিউট থেকে অটোক্রাইজেশন সার্জস – রেসিস্টেন্স গ্রোজ – ডেমোক্রেসি রিপোর্ট ২০২০ শীর্ষক এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টেই আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার অবনতি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুসারে শেষ দু বছর আগে যেখানে মাত্র ১৯টি দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আক্রান্ত ছিলো তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ টি দেশে। স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রশ্নে ১৬টি দেশ নির্ধারিত মানের নীচে নেমে গেছে। বিশ্বের অন্তত ৩৭টি দেশে মিডিয়া সেন্সরশিপ ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।